thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

এরশাদের মামলায় পক্ষভুক্ত হল দুদক

২০১৭ মার্চ ৩০ ১৬:০৫:২৬
এরশাদের মামলায় পক্ষভুক্ত হল দুদক

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগে হওয়া মামলায় তিন বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের সাজা বৃদ্ধি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলে পক্ষভুক্ত হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পক্ষভুক্ত হতে দুদকের আবেদন বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ মঞ্জুর করেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। এরশাদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান। তাছাড়া আদালত এই মামলায় আপিল শুনানির জন্য আগামী ৩ এপ্রিল পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছেন।

এই মামলায় গত ২৩ মার্চ এরশাদের করা আপিলের রায়ের জন্য দিন নির্ধারিত থাকলেও তা ঘোষণা হয়নি। রায়ের আগে এ সাজা বৃদ্ধিতে দুই যুগ আগে রাষ্ট্রপক্ষের দুটি আপিল আদালতের নজরে আসে। যেহেতু তিনটি আপিলই একই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত তাই এরশাদের আপিলের রায় আলাদাভাবে দেওয়া হলে ‘দ্বান্দ্বিক অবস্থা’ তৈরি হতে পারে; এ কারণে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তিনটি আপিলের নথি প্রধান বিচারপতির নিকট পাঠিয়ে দেন।

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানির জন্য গত ২৭ মার্চ বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠান। সেই বেঞ্চে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) আপিল শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসলে আদালত পক্ষভুক্ত হতে দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত বছর ৩০ নভেম্বর সাজার বিরুদ্ধে এরশাদের করা আপিল শুনানি হাইকোর্টে শুরু হয়। গত ৯ মার্চ সেই আপিলের শুনানি শেষে ২৩ মার্চ রায়ের জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলেন আদালত।

সেদিন রায় ঘোষণা হয়নি। পরে আদালতের আদেশের বিষয়ে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেছিলেন, ‘এই মামলার আপিল শুনানিতে দুদক পক্ষভুক্ত হয়েছে ২০১২ সালে। তাই রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের বিষয়ে দুদকের জানা থাকার কথা নয়।’

এরশাদের মামলাগুলো শুনানিতে যে এক ধরনের দীর্ঘসূত্রিতা দেখা যাচ্ছে, এই মামলার ক্ষেত্রেও কি তেমনটি হয়েছে কি না?-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তেমনটি মনে করি না। কারণ আদালত বলেছেন রাষ্ট্রপক্ষ এই মামলায় দুটি আপিল করেছে। এখন এরশাদের আপিলের রায় আলাদা করে দেওয়া হলে একটা দ্বান্দ্বিক অবস্থা তৈরি হতে পারে। আর এসব আপিল শুনানিতে যাতে বিলম্ব না হয়, এজন্য উভয়পক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেছে আদালত। একটু দেরিতে হলেও তিনটি আপিল একসঙ্গে শুনানি করে রায় ঘোষণা হলে আইনগত আর কোনো প্রশ্ন উত্থাপনের সুযোগ থাকবে না।’

রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো এরশাদের বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় এই মামলা দায়ের করে। যার আর্থিক মূল্য মামলায় এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা।।

এই মামলায় ১৯৯১ সালের ২০ মার্চ বিচারিক আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নিন্ম আদালত ওই মামলায় এরশাদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়। ওই সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই আপিল করেন এরশাদ। একই বছর রাষ্ট্রপক্ষ সাজা বৃদ্ধির জন্য দুটি আপিল করে।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এমকে/মার্চ ৩০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর