thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

মানসিক আইন অচিরেই কেবিনেটে যাবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

২০১৭ এপ্রিল ০৭ ২০:১৭:০৬
মানসিক আইন অচিরেই কেবিনেটে যাবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, মানসিক রোগীদের জন্য আইন তৈরি করা হয়েছে। অচিরেই এই আইন কেবিনেটে যাবে এবং জাতীয় সংসদে পাশ হবে।

শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ ২০১৭ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে আলোচনার মধ্যেমে অনেক সমস্যার সমাধান করেছেন। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক নেতা নেত্রী এই বিষয় নিয়ে অযথা প্রশ্ন তুলছেন। যারা দুই দেশের মধ্যে চুক্তির ব্যাপারে অযথা প্রশ্ন তোলেন তারা বিষন্নতায় আক্রান্ত রাজনীতিবিদ। একের পর এক পরাজিত হওয়ার কারণে তারা হতাশ হয়ে বিষণ্নতায় ভূগছেন।

এজন্য তাদের মানসিক চিকিৎসার দরকার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মানসিক বিষণ্নতায় যারা ভুগছেন তাদের সুচিকিৎসা দরকার। এজন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে হতাশা থেকে বিষন্নতা এবং ভীরুতার সৃষ্টি হয়। কীভাবে তাদের বিষণ্নতা কাটানো যায়, তা নিয়ে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে ভাবতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিষণ্নতাকে ছাপিয়ে দেশের মানুষকে স্বাধীনতা উপহার দিয়েছেন। দৃঢ় প্রতিজ্ঞ জাতি কোনো ভাবেই বিষন্নতায় আক্রান্ত হতে পারে না।

বিষণ্নতা কাটাতে সঙ্গীতে মনযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণসহ নানাভাবে মানুষ বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়। চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বিষণ্নতা কাটাতে গান শুনতে হবে। ঘরে বসে সিনেমা দেখতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের ডাক্তাররা রোগীদের সঙ্গে কথা বলতে চায় না বা কথা বলার মতো সময় পান না। কিন্তু কথা বললে রোগী অনেক ক্ষেত্রে বেশী উপকৃত হয়। হাসপাতালে ক্লিনিকে ডাক্তার নার্সদের রোগীদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। মাথায় হাত দিয়ে আদর করলে রোগীরা খুশি হয়। এতে তারা দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠতে পারে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ডা. কাজী মোস্তফা সারওয়ার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশের কান্ট্রি অফিসের প্রতিনিধি ড. নবরত্ন স্বামী পরানিথরন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য ও বিশ্বস্বাস্থ্য) রোকসানা কাদের প্রমূখ।

এবারের স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ডিপ্রেশন : লেটস’ টক (আসুন, বিষন্নতা নিয়ে কথা বলি’। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের সূচনা করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রগতি নিয়ে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিষণ্নতা এক বৈশ্বিক সংকট। বিশ্বে বর্তমানে ৩০ কোটি মানুষ বিষণ্নতায় ভূগছে। বাংলাদেশেও বিষণ্নতায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের জরিপ মতে বাংলাদেশে ৪ দশমিক ৩ ভাগ নারী পুরুষের বিষণ্নতা রয়েছে। যে কোনো বয়সে এমনকি শিশুর মধ্যেও এসমস্যা দেখা দিতে পারে। বিষণ্নতা একটি আবেগজনিত মানসিক সমস্যা।

বিষন্নতার কারণ তুলে ধরে অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কমপক্ষে ১৪ দিনের বেশী মন খারাপ থাকলে, মনে অশান্তি থাকলে, কোনো কিছু ভাল না লাগলে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া ও মানষের সঙ্গে কথা বলতে বিরক্তিভাব তৈরি হয়। রেগে যাওয়া, মনোযোগ কমে যাওয়া, ক্লান্তিবোধ করা, ঘুমের সমস্যা, খাবারে রুচির সমস্যা যৌন স্পৃহা কমে যাওয়া, সাধারণ বিষয় ভুলে যাওয়া, সব সময় মৃত্যুর কথা চিন্তা করা, নিজেকে অপরাধী ভাবা, আত্মহত্যার চিন্তা ও চেষ্টা করা ইত্যাদি কারণে বিষন্নতা হতে পারে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএম/কেআই/এপ্রিল ০৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর