thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

লাগামহীনভাবে বাড়ছে দাম

কুবিতে খাবার হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ

২০১৭ এপ্রিল ০৮ ১৮:০১:২০
কুবিতে খাবার হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ

কুবি প্রতিনিধি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ক্যাম্পাসের আশেপাশের হোটেলগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে খাবার এবং তা বিক্রি করা হচ্ছে চড়া দামে। যার কারণে বিপাকে পড়তে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর এবং ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী মেসের শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার রান্না হওয়ায় খাবারের মান নিয়ে শঙ্কা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন হোটেলগুলোতে পরিদর্শন করে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের সামনের আল-মদিনা, বিএফজি, মামা হোটেল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হল সংলগ্ন দুলু মিয়ার হোটেল প্রায় সবগুলোতেই অনেকটা অস্বাস্থ্যকর এবং নোংরা পরিবেশে রান্না হচ্ছে খাবার। তিনটি হোটেলের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে ময়লার ড্রেন। খাবার যেখান থেকে পরিবেশিত হয় সেখানে মাছির বেশ আনাগোনা এবং খাবারের ডালাগুলোতে নেই কোন সুরক্ষিত ঢাকনা।

এছাড়া হোটেলগুলো একটি সিন্ডিকেট করে সকালের নাস্তার ভাজি/ডাল ৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০টা করেছে, গরুর মাংস ২ পিচ (সিঙ্গেল) ৩৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা, বয়লার মুরগির মাংস প্রতি পিস ৩৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা। তেহারি রাখছে ৩০ টাকা করে। অনেক সময় বাসি তেহারিও গরম করে চালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাছাড়া প্রতি মাসের শেষ কয়েকদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ডাইনিং বন্ধ থাকলে দ্বিগুণ দাম রাখা হয় বলেও জানা গেছে।

প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে বেপরোয়া দাম হাকিয়ে নিচ্ছে এইসব হোটেলগুলো।

হোটেলগুলোতে নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া করা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, হোটেলগুলো ইচ্ছেমতো দাম রাখে। আর খাবারগুলো অস্বাস্থ্যকর। তারা অনেকটা বাধ্য হয়েই হোটেলগুলোর খাবার খায় বলেও সাংবাদিকদের জানায়। তাছাড়া আগের দিনের খাবার গরম করে খাওয়ানো হয় বলেও শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে।

খাবার হোটেলগুলোর এই লাগামহীন দাম ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের বিষয়ে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (কুমিল্লা সদর দক্ষিণ) রূপালী মন্ডল বলেন, ‘দাম ও স্বাস্থ্যকর খাবারের বিষয়ে ভোক্তাদের অধিকার আছে। আমরা এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’

এ বিষয়ে কুমিল্লা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টা আমাদের জানা ছিল না। আমার শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করব। প্রয়োজন হলে জরিমানা ও দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে।’

(দ্য রিপোর্ট/কেএনইউ/এপি/এপ্রিল ০৮, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর