thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ৯ শাওয়াল 1445

হাইকোর্টের আদেশের কপি পাওয়ার অপেক্ষা

ফের শুরু হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই

২০১৭ এপ্রিল ১২ ২৩:২৫:১২
ফের শুরু হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই

সারা দেশের মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম ওপর হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আবার এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, হাইকোর্টের আদেশের কপি পেলেই তারা নতুনভাবে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু করার ব্যাপারে সার্কুলার জারি করবেন।

চলতি বছর গত ১২ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মহানগর, জেলা ও উপজেলায় কমিটি করতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি গেজেট প্রকাশ করে। পরবর্তীতে এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৩ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এ ছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে হাইকোর্টের আদেশে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় এই বাছাই কার্যক্রম স্থগিত হয়।

হাইকোর্টের এসব আদেশ বিবেচনায় মার্চের শুরুতে সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) মহাপরিচালক পুণ্যব্রত চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেন।

এরপর থেকেই সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে মন্ত্রণালয়।

একইসঙ্গে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে সরকার। গত ১৯ মার্চ আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেন। সেদিনই মন্ত্রণালয় এক আদেশে জানায় যে, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলবে। মন্ত্রণালয়ের এই বিজ্ঞপ্তি সত্ত্বেও যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়নি।

এ অবস্থায় মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ফরিদপুর সদরপুর উপজলার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম স্থগিতের রুল নিষ্পত্তি করে দেন বিচারপতি তারিক-উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ফারুকের হাইকোর্ট বেঞ্চ। একইসঙ্গে আদালত সারাদেশে সব কমিটির কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেন।

আদালত একথাও বলেছেন যে, তারা সারা দেশের মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির উপর স্থগিতাদেশ দেননি। এ বিষয়ে আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত বলেছেন- আমরা সব কমিটির কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেইনি। আমরা কেবল রিটকারীর উপজেলার কমিটির বিষয়ে এই আদেশ দিয়েছি। কিন্তু মুদ্রণজনিত প্রমাদের (অজ্ঞতা) কারণে এটা হয়েছে। এরপর আদালত স্থগিতাদেশ তুলে নেন।’

যে মামলার প্রেক্ষিতে এই স্থগিতাদেশ সেটি ছিল ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কমিটি নিয়ে। ওই উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ও নিজেকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন গাফফার মিয়া নামের একজন মুক্তিযোদ্ধা।

ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত ২৩ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেন। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা গাফফার মিয়াকে কেন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। পরে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় গাফফার মিয়াকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করে।

সেই রুল নিষ্পত্তি করে আদালত সারাদেশের ৪৭০টি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেন।

হাইকোর্টের আদেশের বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ বুধবার (১২ এপ্রিল) দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, ‘হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর আমরা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আদেশের কপি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে একটি সার্কুলার জারি করা হবে।’

আদেশের কপি কবে নাগাদ পাওয়া যেতে পারে জানতে চাইলে বুধবার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম দ্য রিপোর্টকে বলেছেন, ‘এখনও আদেশটি স্বাক্ষর হয়নি। স্বাক্ষর হলে আমরা কপি পেতে আবেদন করব। আশা করছি, দুই-একদিনের মধ্যে পেয়ে যাব। তবে মন্ত্রণালয়কে আমরা ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে সার্টিফিকেট প্রদান করেছি।’

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/জেডটি/এনআই/এপ্রিল ১২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর