thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

‘ভারতের সাথে সামরিক চুক্তির প্রয়োজন ছিলো না’

২০১৭ এপ্রিল ১৫ ১৯:১৭:২৫
‘ভারতের সাথে সামরিক চুক্তির প্রয়োজন ছিলো না’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সামরিক চুক্তির প্রয়োজন ছিলো না। এ দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহায়তা রয়েছে। কিসের জন্য সমঝোতা করতে হয়েছে? ভারত-বাংলাদেশ রূপরেখার মধ্যে কি আছে? তা আমাদের জানা নেই। কিন্তু বিশ্বাস করি সরকার আমাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য করেছে।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনায় ‘ভারতের সাথে সমঝোতা স্মারক : নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আয়োজন করে নাগরিক ফোরাম।

ভোটারবিহীন নির্বাচন হওয়ায় সারা পৃথিবী থেকে বন্ধুত্বহীন হয়ে পরেছে বাংলাদেশ; এমন মন্তব্য করে হাফিজ বলেন, এ জন্য সরকারকে ভারতের সাথে সামরিক সমঝোতা চুক্তি করতে হচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীতে এসে ভোটারবিহীন এমন এক দেশ গড়েছেন তারা। এ জন্য সবাই ফায়দা লুটছে।’

তিনি বলেন, সামরিক বিষয় নিয়ে কেউ আলোচনা করেন না। আজ দেশের প্রয়োজনে আলোচনা করা হচ্ছে। দেশপ্রেমের কারণে সাবেক সেনা কর্মকর্তারা দেশের এমন পরিস্থিতিতে কথা বলছে। আমরা যে কথা বলতে পারবো রাজনৈতিক নেতারা সেই সাহস নিয়ে বলতে পারবেন না।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ সামরিক চুক্তি করেন। কিন্তু তারা তাদের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করেন। আমরা আশা করি আমাদের সরকারও জনগণের জন্য প্রকাশ করবেন। কারণ দেশের মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন।

‘আওয়ামী লীগ নেতা বলছেন চীনের সাথে বিএনপি সরকার সামরিক চুক্তি করেছিল গোপনে। আসলে চীনের সাথে অস্ত্র কেনা বেচার চুক্তি হয়েছিল। এছাড়া চীন আমাদের জন্য বিপদজনক নয়। তাদের সাথে আমাদের কোন সীমানা নেই।’ যোগ করেন।

ভারতের সাথে চীন-পাকিস্তানের যুদ্ধ চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এমনকী নেপালের সাথে রাজনৈতিক ঝামেলা রয়েছে। ভারত প্রতিবেশী দেশের জন্য সুবিধার না। চীনের সাথে ভারতের যুদ্ধ বাঁধলে আমাদের ভূমি ব্যবহার করবে। কিন্তু আমাদের পররাষ্ট্রনীতি অনুযায়ী আমরা কারো সাথে যুদ্ধ করবো না।

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী দেশের মানুষের আশা আকাঙ্খার স্থানে ছিলো এমন কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই চুক্তির পরে কি সামরিক বাহিনী মানুষের আশা পূরণ করতে পারবে। বাংলাদেশ আক্রান্ত হলে ভারত-মিয়ানমারের হাতে আক্রান্ত হবে। তাই আমাদের উচিত সামরিকভাবে নিজেদের পায়ের উপর দাঁড়ানো।

আলোচনাসভায় বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী বলেন, প্রতিটি দেশের সশস্ত্র বাহিনীর নিজেদের সক্রিয়তার মধ্যে ডিফেন্স পরিকল্পনা থাকে। আমাদেরও তাই রয়েছে। কিন্তু ভারতের সেনা সদস্যরা আমাদের ট্রেনিং ও আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জানার যে অধিকার পেয়েছেন, তাতে আমাদের নিজস্ব বলে কিছু থাকবে না।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা ও রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। যেন প্রধানমন্ত্রী কোন কিছুতে না বলতে পারেন।

তিনি বলেন, ভারতের সেনাবাহিনী যদি আমাদের গোপনীয়তা জেনে যায়।তাহলে আমরা তো নিরাপত্তাহীন হয়ে যাবো।

সংগঠনের সভাপতি মেজর (অব.) এম সরোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর, মেজর (অব.) নূর হোসেন, মেজর (অব.) সাঈদ, মেজর (অব.) মুরাদ হামিদ খান প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এপি/এপ্রিল ১৫, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর