thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ 24, ১৫ চৈত্র ১৪৩০,  ১৯ রমজান 1445

অভিবাসন ব্যয় পুনঃনির্ধারণ হচ্ছে

‘বায়ো-রিক্রুটমেন্ট’ পদ্ধতিতে কর্মী যাবে মালয়েশিয়ায়

২০১৭ এপ্রিল ১৫ ২১:৩৪:০৮
‘বায়ো-রিক্রুটমেন্ট’ পদ্ধতিতে কর্মী যাবে মালয়েশিয়ায়

চলমান জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে অভিবাসন ব্যয় পুনঃনির্ধারণ করছে সরকার। শুধু তাই নয়, মধ্যস্বত্ব ভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে ‘বায়ো-রিক্রুটমেন্ট’ পদ্ধতিও চালু হচ্ছে। এটি চালু হলে সরকার নির্ধারিত টাকা ব্যাংকে জমা দেবেন বিদেশগামীরা। এর অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে না তাদের এবং মধ্যস্বত্বভোগীরাও ইচ্ছে করলে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিতে পারবেন না।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের সংগঠন বায়রা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

২০০৯ সালে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে যায়। তবে ২০১৩ সালে শুধুমাত্র সরকারিভাবে (জিটুজি) দেশটিতে কর্মীয় যাওয়া শুরু করলেও তা শেষ পর্যন্ত ফ্লপ করে। ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারিত এ চুক্তি সংস্কার করে বেসরকারিখাত তথ্য রিক্রুটিং এজেন্সির ব্যবসার সুযোগ রেখে ‘জিটুজি প্লাস’ চুক্তি সই হয়। শুরু থেকেই রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে এ প্রক্রিয়াটি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। সিন্ডিকেটের অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকজন হাইকোর্টে রিটও করেন। যা একের পর এক নিষ্পত্তি হচ্ছে এবং কেউ কেউ আবার তা প্রত্যাহারও করে নিচ্ছেন। গত মার্চ মাস থেকে জিটুজি প্লাস চুক্তির আলোকে মালয়েশিয়াতে ফ্যাক্টরি, কন্সট্রাকশন, সেবাসহ কয়েকটি খাতে কর্মী যাচ্ছে।

বায়রার মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন এ ব্যাপারে দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার কর্মী মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছে। তারা তাদের কর্মে যোগদান করেছেন। কেউ কেউ এক মাসের বেতনও তুলেছেন।

তার তথ্য মতে, গত মার্চ মাসে প্রায় ৪শ’ কর্মী গেছে মালয়েশিয়ায়। আর চলতি এপ্রিল মাসে আজ (১৫ এপ্রিল) পর্যন্ত ৭শ’ –এর মতো গেছে। এ মাসে আরও কিছু ফ্লাইট রয়েছে। আশা করছি আগামী মে মাসে ৫ হাজার, জুন মাসে ১০ হাজার যাবে। এভাবে জ্যামিতিক হারে মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়ার হার বাড়তে থাকবে।

জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে চুক্তি অনুযায়ী ৩৭ হাজার ৫শ’ টাকা অভিবাসন ব্যয় ধরা হয়। এটিকে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো অযৌক্তিক বলেই মনে করে। ফলে-এর চেয়ে কয়েকগুন বেশি টাকা মালয়েশিয়াগামীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে। এ প্রেক্ষাপটে সৌদি আরবের মতো মালয়েশিয়াতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অভিবাসন ব্যয় পুনঃনির্ধারণ করে দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. জাবেদ আহমেদ দ্য রিপোর্টকে বলেন, শুধু মালয়েশিয়া নয়, আরও কয়েকটি দেশের অভিবাসন ব্যয়ও আমরা পুনঃনির্ধারণ করে দেব। এ নিয়ে আমাদের কাজ অনেকদূর এগিয়েছে।

এ ব্যাপারে বায়রা মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন বলেন, মালয়েশিয়ার অভিবাসন ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সাথে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আশা করি অভিবাসন ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়েই নির্ধারণ করা হবে।

তিনি জানান, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয়েই মালয়েশিয়ায় যাতে কর্মী যায়, এটি নিশ্চিত করতে ‘বায়ো-রিক্রুটমেন্ট’ পদ্ধতি চালু হচ্ছে। মালয়েশিয়ায় একটি সফটওয়্যার তৈরি হচ্ছে। তাদের দেওয়া সফটওয়্যার অনুযায়ী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্ধারিত ব্যাংকের শাখায় একটি ডিভাইস বসানো হবে। যেখানে মালয়েশিয়ায় যেতে ইচ্ছুক কর্মী নিজে টাকা জমা দেবে। ভিসা প্রাপ্তি ও বিএমইটির ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পর তার সে টাকা সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির একাউন্টে ট্রান্সফার হবে।

এতে মধ্যস্বত্ত্ব ভোগীরা অতিরিক্ত টাকা নিতে পারবে না জানিয়ে বায়রা মহাসচিব জানান, যদি ওই ব্যক্তি মনে করেন যে তিনি বিদেশে যাবেন না, তাহলে ইচ্ছে করলে ব্যাংক থেকে তার টাকা তুলে নিতে পারবেন। তবে ভিসা হওয়ার পর যদি তিনি না যান তাহলে তার একাউন্ট থেকে কিছু টাকা (এখনও চূড়ান্ত নয়) কেটে নেবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এপি/এপ্রিল ১৫, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর