thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

ইইউ’র চাপ, ইপিজেডে ট্রেড ইউনিয়ন চালুর চিন্তা

২০১৭ এপ্রিল ২০ ১৬:২৪:০৪
ইইউ’র চাপ, ইপিজেডে ট্রেড ইউনিয়ন চালুর চিন্তা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চাপে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) ট্রেড ইউনিয়ন চালুর চিন্তা করছে সরকার। যদিও ইপিজেডে ট্রেড ইউনিয়ন চালু না করতে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সরকারের অঙ্গীকার রয়েছে।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশে সফররত ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাইকেল সোমারের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সাংবদিকদের বলেছেন, ‘প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ইপিজেডে শ্রমিক ইউনিয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছেন ইপিজেডে শ্রমিক ইউনিয়ন যেন আইএলও স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে হয়।’

তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মিটিং রয়েছে, আমরা ইপিজেডের বিষয়টা নিয়ে সেখানে আলোচনা করব।বিদেশি বিনিয়োগকারী যারা ইপিজেডে বিনিয়োগ করেছে তাদের সাথে অঙ্গীকার ছিল যে এখানে ট্রেড ইউনিয়ন হবে না। তারপরও তাদের রাজি করে ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন করেছি। তারা (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) চায় এখানেও অন্য কারখানার মত যেন ট্রেড ইউনিয়ন হয়।’

মন্ত্রী আরো বলেছেন, ‘এখানে (ইপিজেডে) ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন নামে যে সংস্থা আছে, সেটা ট্রেড ইউনিয়নের মতই তাদের দর কষাকষির সুবিধা আছে। মালিক পক্ষ, শ্রমিক পক্ষ, সরকার পক্ষ একসাথে বসে কোনো বিরোধ দেখা দিলে তা নিষ্পত্তি করবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘এটাকে যদি আইএলওর নিয়মানুসারে ট্রেড ইউনিয়নের মতই করতে হয়, সে বিষয়টা আমরা আলোচনা করব।বিষয়টি আলোচনার মধ্যে আছে। নিশ্চয়ই আমরা বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। এমন কিছু করতে আমরা যাব না যাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সম্পর্ক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক সামান্য ব্যাহত হয়, সেটা আমরা চাইব না। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন দিয়ে লাভবান হচ্ছি।’

তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। আমাদের মোট রফতানির ৫৫ শতাংশ ইউরোপীয় ইউনিয়নে যায়। তারা অস্ত্র ছাড়া সব পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়। এই সুবিধা যাতে কখনও ব্যাহত না হয় আমাদের সেই প্রচেষ্টা থাকবে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘অ্যাকর্ড (বিদেশি ক্রেতা জোট) দেড় হাজার এবং ন্যাশনাল ইনেশিয়েটিভ (বাংলাদেশ সরকার) দেড় হাজার এবং অ্যালায়েন্স ৮৯০টিসহ মোট তিন হাজার ৮০০ কারখানা ইতোমধ্যে পরিদর্শন করা হয়েছে। এরমধ্যে (ঝুঁকিপূর্ণ) ৩৯টি কারখানা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ, ৪৭টি আংশিক বন্ধ করা হয়েছে।’

‘আমাদের ঝুঁকিপূর্ণ কারখানার পরিমাণ ২ শতাংশের অনেক কম। আন্তর্জাতিক বিশ্বে ঝুঁকিপূর্ণের হার ২ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশের ১ শতাংশের বেশি। তার মানে এটা ভাল।’-বলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তোফয়েল।

প্রতিনিধি দলে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত থমাস প্রিন্স ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এস/জেডটি/এপ্রিল ২০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর