thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

প্রমাণের অভাবে পার পেলেন নওয়াজ শরীফ

২০১৭ এপ্রিল ২০ ১৭:৩৮:৩৬
প্রমাণের অভাবে পার পেলেন নওয়াজ শরীফ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : পানামা পেপারস নামে ফাঁস হওয়া নথিপত্রে বিদেশে গোপন অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেনের সাথে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের দুই ছেলে এবং এক মেয়ের নাম প্রকাশ হয়। অভিযোগ ওঠে নওয়াজ শরীফের পরিবার বিদেশে অবৈধভাবে টাকা পাচার করেছেন এবং সেই টাকা দিয়ে ব্রিটেনে স্থাবর সম্পত্তি কিনছেন।

তবে সুপ্রিম কোর্ট এক তদন্তের পর বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রায় দিয়েছে- প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের জন্য যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে আরও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসি বাংলার।

পানামা পেপারস ফাঁসের পর তীব্র হৈচৈ শুরু হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানে। বিরোধী রাজনীতিক ও সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান দেশজুড়ে বিক্ষোভের হুমকি দেন। প্রধানমন্ত্রী শরীফ ও তার পরিবার সবসময় টাকা পাচার বা অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

তবে বিরোধীদের ক্ষোভের মুখে গত বছরের শেষ নাগাদ পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট প্রধানমন্ত্রী শরীফের বিরুদ্ধে টাকা পাচারের অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়। তারপর থেকেই বলা হচ্ছিলো তদন্তে অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া গেলে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ক্ষমতা ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টে রায় হবে- এ খবর জানার পর গত কদিন ধরে পাকিস্তানে প্রচুর জল্পনা চলছিল। এমনকি শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। রায়ের দিন ইসলামাবাদে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে ১৫০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

সরকারের দিক থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছিল নওয়াজ শরীফ সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাবেন।

গত বছর মে মাসে পানামা পেপার্স নামে পরিচিত ফাঁস হয়ে যাওয়া অফশোর অ্যাকাউন্টের তথ্যের একটি তালিকা অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছিল।

নিজেদের ওয়েবসাইটে তথ্য প্রকাশে পর অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন আইসিআইজে বলেছিল যে, এই ডেটাবেজে উল্লেখিত সবাই যে অবৈধ কাজ করেছে তা নয়, তবে এর মাধ্যমে অনেকে কর ফাঁকি বা আর্থিক তথ্য লুকানোর চেষ্টা করতে পারে।

আইনি প্রতিষ্ঠান মোজাক ফনসেকার ফাঁস হয়ে যাওয়া নথি, পানামা পেপার্সের মাধ্যমে বিশ্বের অনেক রাজনীতিবিদ, সরকারী কর্মকর্তা, রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে চিত্রতারকা এবং তারকা খেলোয়াড়দেরও গোপন সম্পদের খবর ফাঁস হয়ে যায়।

জার্মান একটি পত্রিকার কাছে ‘জন ডো’ নামে পরিচিত একটি সূত্র এই তথ্যগুলো ফাঁস করে দেয়। পরবর্তীতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট এই তথ্য প্রকাশ করে। তবে মোজাক ফনসেকা দাবি করছে, তারা বেআইনি কোন কাজ করেনি।

(দ্য রিপোর্ট/এস/এপি/এপ্রিল ২০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর