thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ৯ শাওয়াল 1445

ব্যাংকিংখাতে দক্ষ মানবসম্পদের বিকল্প নেই : ইব্রাহিম খালেদ

২০১৭ এপ্রিল ২০ ১৯:১০:০৮
ব্যাংকিংখাতে দক্ষ মানবসম্পদের বিকল্প নেই : ইব্রাহিম খালেদ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ব্যাংকিংখাতে দক্ষ ও যোগ্যতা সম্পন্ন মানবসম্পদের কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। তিনি বলেন, কোন ব্যাংকে কর্মীরা যদি দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন হয় তাহলে ব্যাংকের মূলধন, তারল্যসহ অন্য কিছু ঘাটতি থাকলেও তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। কিন্তু জনবল যদি দক্ষ না হয় তাহলে অন্য সবকিছু পর্যাপ্ত থাকলেও স্বল্প সময়ের মধ্যেই ব্যাংকটি একটি প্রব্লেম ব্যাংকে পরিণত হবে।

এ প্রসঙ্গে বেসিক ব্যাংকের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, এটি খুবই একটি ভালো ব্যাংক ছিল। খেলাপিঋণের পরিমাণ ছিল ২ থেকে ৩ শতাংশ। কিন্তু ব্যাংকটিতে ২ থেকে ৩ জন খারাপ লোক ঢুকেছে আর তিন বছরের মধ্যে ব্যাংকটি শেষ হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে (বিআইবিএম) মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত একটি কর্মশালায় প্যানেল বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিভিন্ন ব্যাংকে কর্মরত ব্যাংক কর্মীদের উপর পরিচালিত জরিপ ও ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে প্রণীত ‘হিউম্যান রিসোর্সেস ম্যানেজম্যান্ট অব ব্যাংকস ২০১৬’ শীর্ষক গবেষণাপত্রের উপর এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। গবেষণাপত্রটি প্রণয়ন করেন বিআইবিএম’র সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মাসুদুল হক, লেকচারার রেকসানা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম-পরিচালক রফিকুল ইসলাম ও আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাজহারুল ইসলাম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন। কর্মশালায় প্যানেল আলোচক ছিলেন বিআইবিএম’র সুপারনিউমারেরি অধ্যাপক হেলাল আহমেদ চৌধুরী, ইয়াছিন আলী, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এহসানুল হক, ওয়ান ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জন সরকার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী।

ইব্রাহিম খালেদ বলেন, দক্ষতা ও যোগ্যতার দিক দিয়ে সরকার ও বেসরকারি ব্যাংকের কর্মীদের মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। বেসরকারি ব্যাংকে খেলাপিঋণের পরিমাণ ৫ থেকে ৬ শতাংশ। কিন্তু সরকারি ব্যাংকে এর পরিমাণ ২০ থেকে ২২ শতাংশ। এ থেকে সরকারি ব্যাংকের কর্মীরা কতটা দক্ষ তা স্পষ্ট।

তিনি আরও বলেন, গ্রাহক ধরার জন্য ব্যাংকগুলো যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে দক্ষ জনবলের জন্য সে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হয় না। যে প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয় তাদেরই উচিত কর্মীদের দক্ষ করে তোলা। ব্যাংকগুলো ১৫ দিনের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। কিন্তু এটা যথেষ্ট নয়। ব্যাংক কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রপার কোর্স ডিজাইন করতে হবে।

আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, মানবসম্পদ ব্যাংকিং খাতে খুবই প্রয়োজন। এ খাতকে যতটা গুরুত্ব দেওয়া দরকার ততটা দেওয়া হয় না। মানবসম্পদকে সফট অ্যাসেট উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানব সম্পদের ক্ষেত্রে যদি সিদ্ধান্ত সঠিক না হয় তাহলে অপারেশনাল রিস্ক তৈরি হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ব্যাংকিং সেক্টর নিয়ে ধারণা নেই, এমন লোকদের ব্যাংকের বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগে অন্য ইন্ডাস্ট্রির লোক নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে কিন্তু তার ব্যাংক সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত। এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে যেতে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে এ ধরনের অভিযোগ আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে একটি নীতিমালা থাকা উচিত। নীতিমালা থাকলে এ ধরনের অভিযোগগুলো কমে আসবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমকে/এপি/এপ্রিল ২০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর