thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ৯ শাওয়াল 1445

সাকুরা বারে হত্যাকাণ্ডে ‘দলীয় পদ’?

২০১৭ এপ্রিল ২৪ ২২:৩৫:১৫
সাকুরা বারে হত্যাকাণ্ডে ‘দলীয় পদ’?

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর পরীবাগে রবিবার (২৩ এপ্রিল) মধ্যরাতে পর্যটন করপোরেশন পরিচালিত সাকুরা বারে যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, এর কারণ হিসেবে একটি রাজনৈতিক দলের পদ নিয়ে বিরাজমান দ্বন্দ্বকেই প্রধান করে দেখছেন নিহতের স্বজনরা। যদিও সোমাবার রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের কোনো রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।

রবিবার মধ্যরাতে বৃষ্টির মধ্যেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। নিহত যুবকের নাম জনি ওরফে বাবা জনি (৩০)। সে যুবদল নেতা।

স্থানীয়দের মধ্যে প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার মধ্যরাতে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল। ঠিক ওই সময় জনিসহ আরও তিনজন বার থেকে দৌড়ে বেরিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ওই তিনজন পালাতে পারলেও জনি ১৫-২০ জন যুবকের হাত ধরা পড়ে। তারা জনিকে প্রচুর মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। সাকুরার কয়েকজন কর্মচারীকেও এ সময় জনিকে পেটাতে দেখা যায়। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে গভীর রাতে সাকুরা বারের পেছন দিক থেকে জনিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পর ঘটনাস্থল ও এর আশপাশের এলাকা থেকে সাকুরা বারের ম্যানেজার মোস্তফা কামাল এবং তার ছেলে ড. আশিফ, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সিকিউরিটি গার্ডসহ ৪৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় রেখেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।

ঘটনার পর থেকে সাকুরা বার বন্ধ রাখা হয়েছে। মার্কেটের নিচে মোতায়েন রাখা হয়েছে পুলিশ। এই মার্কেটে ৩২টি দোকান আছে। মার্কেটের দায়িত্বরত দুই সিকিউরিটি গার্ড মফিজ ও আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। সাকুরার সিকিউরিটি গার্ড রতন, ওয়েটার মেহেরাজ রাজু, রহিম, বাবুর্চি মনিরকেও থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, ‘এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। নিহত জনির স্ত্রী মামলার জন্য থানায় এসেছেন। কিন্তু ময়নাতদন্তের পর মামলা করা হবে। বেশ কয়েকজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে, সেগুলো ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশা করছি, শীঘ্রই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন হবে।’

এদিকে, নিহত জনির পরিবার দাবি করছে, দলীয় পদকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। জনির বড় ভাই নয়ন আহমেদ দ্য রিপোর্টকে জানিয়েছেন, তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার দক্ষিণ রাঁধানগর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। জনি মিরপুরের কল্যাণপুরে থাকত। সে শাহবাগ থানার ২১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিল। মিজান নামের আরেকজন এ পদপ্রার্থী ছিল। এই পদপ্রাপ্তি নিয়ে জনি ও মিজানের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। এরই জের ধরে জনিকে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা (জনির পরিবারের সদস্যরা) ধারণা করছেন।

তবে এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে অন্য রহস্য থাকতে পারে বলেও অভিমত দিয়েছেন নয়ন আহমেদ। তিনি এও মনে করেন যে, সাকুরা বারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে। তবে কারণ যাই হোক না কেন, নয়ন দাবি করেছেন, তার ভাই জনিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর-আরএস/কেএনইউ/জেডটি/এনআই/এপ্রিল ২৪, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর