thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

‘মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবনের অর্থ আমৃত্যু কারাদণ্ড’

২০১৭ এপ্রিল ২৫ ১৮:২০:৩৬
‘মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবনের অর্থ আমৃত্যু কারাদণ্ড’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ‘যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস’ আপিল বিভাগের এমন রায় নিয়ে ধোঁয়াশা দূর করলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেছেন, ‘যখন উচ্চ আদালতে আপিলের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে, তখন সেই যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদণ্ড।’

দেড় দশক আগে একটি খুনের ঘটনায় হওয়া মামলায় আপিল বিভাগ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তিন আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। সোমবার (২৪ এপ্রিল) সেই রায়ের ৯২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

রায়ে বলা হয়েছে, যদি হাইকোর্ট বিভাগ বা এই আদালত (আপিল বিভাগ) মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করেন এবং নির্দেশ দেন যে, তার (আসামি) স্বাভাবিক মৃত্যু পর্যন্ত এই কারাদণ্ড ভোগ করবে, তখন এ ধরনের মামলায় সাজা রেয়াত সুবিধা প্রযোজ্য হবে না।

আমৃত্যু কারাদণ্ডের ব্যাখ্যায় আদালতের রায়ে বলা হয়, দণ্ডবিধির ৫৩ ধারা অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের অর্থ ৪৫ ধারার সঙ্গে মিলিয়ে পড়তে হবে। (৫৩ ধারায় শাস্তির ধরনের মধ্যে একটি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড উল্লেখ করা হয়েছে। আর ৪৫ ধারায় ‘জীবন’ বলতে ‘মনুষ্য জীবন’কে বুঝানো হয়েছে।) সেক্ষেত্রে দেখা যায় যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদণ্ড।

তবে দণ্ডবিধির ৫৭ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডকে ৩০ বছরে সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

রায় প্রকাশের পরই ‘যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু, এটা সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে’ অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের বরাত দিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়।তবে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) তার কাছ থেকে আসল ভিন্ন ব্যাখ্যা।

মাহবুবে আলম বলেছেন, ‘একজন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড ছিল, এই মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্ট থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তর হয়েছে। এক্ষেত্রে আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত হলো তাকে আমৃত্যুই কারাগারে থাকতে হবে। যার মৃত্যুদণ্ড আদেশ ছিল এটাকে কমিয়ে যেটা যাবজ্জীবন দেওয়া হয়, এই যাবজ্জীবনের অর্থ হলো আমৃত্যু কারাদণ্ড।’

এ ধরনের আসামিরা কোনো রেয়াত না পেলেও রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিধান প্রযোজ্য হবে বলেও উল্লেখ করেছেন মাহবুবে আলম। তিনি বলেছেন, ‘এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের যে ক্ষমতা, জেল কোডের ক্ষমতা, এগুলো এপ্লিকেবল (প্রযোজ্য) হবে না, কমানো যাবে না। শুধু রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা উনি এক্সারসাইজ করতে পারবেন। উনি কমাতেও পারবেন, উনি মাফও করতে পারবেন।’

এ ছাড়া যাবজ্জীবনের বর্তমান বিধান ৩০ বছর অন্যান্য মামলায় প্রয়োগ হবে বলেও জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেছেন, ‘নিম্ন আদালতে যেগুলোতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয় সেগুলোর ক্ষেত্রে যা এখন আইনে আছে তাই চলবে।’

তবে আপিলে সব আসামির ক্ষেত্রেই মৃত্যুদণ্ড কমে যাবজ্জীবন হলে তা আমৃত্যু হবে কিনা সে বিষয় সুষ্পষ্টভাবে কিছু বলেননি মাহবুবে আলম। তিনি বলেছেন, ‘বিস্তারিত রায় পড়ে যদি দেখা যায় যে ইন্ডিকেশনটা অন্যান্য মামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, সেক্ষেত্রে এপ্লিকেবল হবে। এক্ষেত্রে পুরো রায়টা না পড়ে বিস্তারিত বলা সম্ভব না।’

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/জেডটি/এপ্রিল ২৫, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর