thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

‘আইনানুযায়ী তামাক কোম্পানিগুলো স্বাস্থ্য সতর্কবাণী দিচ্ছে না’

২০১৭ এপ্রিল ২৫ ২৩:২০:২৭
‘আইনানুযায়ী তামাক কোম্পানিগুলো স্বাস্থ্য সতর্কবাণী দিচ্ছে না’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দেশের তামাক কোম্পানিগুলো বিড়ি, সিগারেট, গুল ও জর্দাসহ তামাকজাত দ্রব্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আইনানুযায়ী স্বাস্থ্য সতর্কবাণী দিচ্ছে না, এমন চিত্র ধরা পড়েছে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্স সেলের এক গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফলে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) ‘আইন অনুযায়ী তামাকজাত দ্রব্যে স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়ন-বর্তমান অবস্থা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ডিআইইউ টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্স সেল এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা ফলাফলের ওপর বক্তব্য রাখেন-পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আবু নাসের খান, দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন, এইড ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বকুল, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের মুখপত্র সমস্বর’র নির্বাহী পরিচালক আমিনুল ইসলাম সুজন প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন ড. শাহ আলম চৌধুরী। গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দা অনন্যা রহমান।

গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফল তুলে ধরে সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেছেন, ‘২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল অবধি গবেষণায় যশোর, নড়াইল, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালী, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, চাঁদপুর, বান্দরবন, ফেনী, লক্ষীপুর, নোয়াখালী, পাবনা, নাটোর, বগুড়া, নওগা, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটসহ দেশের ২৫টি জেলায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়ন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়। এ সময় মোট ১৩৩১টি ভিন্ন ভিন্ন ব্র্যান্ডের মোট ৪৪৫টি ধোঁয়াযুক্ত তামাকপণ্য সংগ্রহ করা হয়, যার ৯৫ শতাংশ পণ্যে সচিত্র সতর্কবাণী পাওয়া গেছে এবং ৮৮৬টি ধোঁয়াবিহীন পণ্য যেমন গুল, জর্দা ইত্যাদির মধ্যে মাত্র ৭৬ শতাংশে সচিত্র সতর্কবাণী পাওয়া গেছে। যদিও এর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আইনানুযায়ী সতর্কবাণী দেয়নি কোম্পানিগুলো।’

আইনানুয়ায়ী তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট ও কৌটার উপরের অর্ধেক অংশজুড়ে সচিত্র সতর্কবাণী দেওয়ার বিষয়ে সরকারকে কঠোর হওয়ার দাবি জানিয়েছেন তামাকবিরোধী আন্দোলনের বক্তারা।

(দ্য রিপোর্ট/এমএম/জেডটি/এনআই/এপ্রিল ২৫, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর