thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল 24, ৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ৭ শাওয়াল 1445

কাজ শুরুর লিখিত আদেশ

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ক্ষণগণনা শুরু

২০১৭ এপ্রিল ২৬ ০০:১২:৫০
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ক্ষণগণনা শুরু

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : নানান বিতর্ক সঙ্গী করেই শুরু হয়ে গেলো বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের আনুষ্ঠানিক ক্ষণগণনা। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান ভারত হেভি ইলেক্ট্রিক্যালসকে (ভেল) নোটিস টু প্রসিড বা কাজ শুরু করার লিখিত নির্দেশ দিয়েছে ভারত আর বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগের সংস্থা বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (বি.আই.এফ.পি.সি.এল )।

এই নির্দেশ পাওয়ার পর থেকে আগামী ৪১ মাসের মধ্যে রামপালের মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের প্রথম ইউনিটটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে ভেল’কে।

পরবর্তীতে দ্বিতীয় ইউনিটের জন্য আরও ৬ মাস সময় দেওয়া হয়েছে নির্মাণকারী সংস্থাটিকে।

বি.আই.এফ.পি.সি.এল’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিডিংয়ের মাধ্যমে নির্মাণ কাজের জন্য ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ভারত হেভি ইলেট্রিক্যালসকে দায়িত্ব আগেই দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে যে আগের দিন ভেলকে 'নোটিস টু প্রসিড' অর্থাৎ কাজ শুরু করার লিখিত নির্দেশ দিয়েছে।

রামপালে ৬৬০ মেগাওয়াট করে দুটি ইউনিট তৈরি হবে । তার জন্য দেড় বিলিয়ন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ১০,০০০ কোটি টাকার এই অর্ডার পেয়েছে ভেল। এই কাজের জন্য ভেল ভারতের এক্সিম ব্যাঙ্ক থেকে ঋণও ইতোমধ্যেই পেয়েছে তারা।

এই অর্ডারটিকে ভেল বলছে তাদের পাওয়া সব থেকে বড় অঙ্কের রফতানিমূলক অর্ডার। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নকশা তৈরি, কারিগরি, বণ্টন, নির্মাণকাজ- এসবের শেষে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাণিজ্যিকভাবে চালু করে দেওয়া- পুরো কাজটাই ভেল করবে।

বি.আই.এফ.পি.সিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জ্বল ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, প্রথম ইউনিটটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে ৪১ মাসের মধ্যে আর বাণিজ্যিকভাবে সেটিকে চালু করতে হবে ৪৬ মাসে। দ্বিতীয় ইউনিটটি তৈরি করতে আরও ৬ মাস সময় পাবে নির্মাণকারী সংস্থা অর্থাৎ ৪৭ মাস। সেটি বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়ে যাবে ৫২ মাসের মধ্যে। ভেল-এর সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে, সেখানেই এই সময়সীমার উল্লেখ রয়েছে।

উজ্জ্বল ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘সুন্দরবনের পরিবেশের কোনো রকম ক্ষয়ক্ষতি হবে না, এটা নিশ্চিত হওয়ার পরেই আমরা গোটা প্রকল্পটা নিয়ে এগিয়েছি। এ ছাড়াও ভারত আর বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোর সমান অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে তৈরি যে সংস্থা, সেটি বাংলাদেশের সব আইনকানুন মেনেই প্রতিটা কাজ করছে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে পরিবেশ দূষণ রোধে যে যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে - সেগুলি বাংলাদেশের নিয়মকানুনের থেকে অনেক বেশি কড়া। বিশ্বব্যাংক এবং ইন্টারন্যাশানাল ফিনান্স কর্পোরেশন বা আইএফসি দূষণ রোধের যেসব মাপকাঠি তৈরি করে দিয়েছে, রামপালের ক্ষেত্রে আমরা সেগুলো মেনে চলছি। এছাড়াও আমাদের আশা যেভাবে নকশা হচ্ছে, তাতে বিশ্বব্যাংকের মাপকাঠির থেকেও দূষণের মাত্রা কম রাখা যাবে।’

যে জার্মান সংস্থাটি প্রযুক্তিগত কনসালটেন্ট হিসাবে কাজ করছে, তাদের কথা উল্লেখ করে মি. ভট্টাচার্য বলছেনে, ‘জার্মানি এমন একটা দেশ যারা পরিবেশ দূষণ নিয়ে অনেক বেশি কঠোর। সেখানকার একটা সংস্থা যখন কোনো নকশা করবে, তারাও যে সেই কঠোর নিয়ম মেনে চলবে, এটাই স্বাভাবিক। তাই পরিবেশ দূষণ নিয়ে অথবা সুন্দরবন ধ্বংস হওয়া নিয়ে শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতের পরিবেশবিদদের মধ্যেও যে বিরোধিতা রয়েছে, তাকে একরম অমূলক আশঙ্কাই বলা চলে।’

সূত্র : বিবিসি বাংলা

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/এনআই/এপ্রিল ২৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর