thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ৯ শাওয়াল 1445

‘মাছের মড়কের জন্য ধানের পঁচনই দায়ী’

২০১৭ এপ্রিল ২৭ ১৭:০০:০৪
‘মাছের মড়কের জন্য ধানের পঁচনই দায়ী’

বাকৃবি প্রতিনিধি : অতিরক্তি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল থেকে নেমে আসা বন্যায় ধান গাছ পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে পানিতে ডুবে যাওয়া ধান পঁচতে শুরু করে। এতে পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কমে যাওয়ায় মাছ মারা যায়।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সকল তথ্য জানান মৎস্য চাষ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক।

গত সোমবার (২৪ এপ্রিল) বাকৃবি মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদ কর্তৃক ৬ সদস্য বিশিষ্ট ‘মাছের মড়ক পর্যাবেক্ষণ ও অনুসন্ধানী’ একটি টিম হাওর অঞ্চলে পরিদর্শনে যায়। এই টিমের আহ্বায়ক ছিলেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক।

তারা পানি, মাটি, মাছ ও হাঁস নিয়ে পরীক্ষা-পরীক্ষা করার পর একটি প্রতিবেদন তৈরি করেন। টিমের অন্যান্য সদস্যরা হলেন মাছ চাষ বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম রহমত উল্লাহ, ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম নওশাদ আলম, মাছ চাষ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলী রেজা ফারুক, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান ও ফিশারিজ বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. একে শাকুর আহম্মদ।

মাছ মারা যাওয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোন জীবাণুবাহিত রোগের কারণে মাছ মরে যায়নি। হাওরের পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা কম এবং কার্বনডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেশি ছিল। ফলে পানির অম্লত বৃদ্ধি পায়। এতে কোন এমোনিয়া ও নাইট্রাইটের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এছাড়াও ১৯ প্রকারের মাছ ও জলজ প্রাণির পোনাও পাওয়া গেছে।

স্থানীয় মানুষেরা জাল ব্যবহার করছে যা মাছের জন্য হুমকিস্বরূপ। পানির গভীরতা যেখানে কম সেখানে মাছ বেশি মরেছে। আর যেখানে গভীরতা বেশি সেখানে মাছ কম মরেছে।

হাঁস মারা যাওয়ার বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুষ্ক মৌসুমে হাওরের বোরো ধানক্ষেতে প্রচুর পোকামাকড় জন্মায়। এগুলোর মাঝে অনেক বিষাক্ত পোকামাকড়ও থাকে। স্থানীয় জনগণের মতে, হাওরে হঠাৎ বন্যায় বিষাক্ত পোকামাকড়গুলো ভেসে হাওরের পাড়ের কাছাকাছি চলে আসে। এতে করে হাঁস সহজে এগুলো খেয়ে ফেলে। এ কারণেই হাঁসের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য কারণেও হাঁসের মৃত্যু প্রায় সারাবছরই কম বেশি হয়ে থাকে।

তবে হালির হাওর (হাইলের হাওর নয়) থেকে পাওয়া মৃত হাঁসের রক্তের ডিএনএ মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ল্যাবে এনালাইসিস করে রক্তে কোন বিষাক্ত দ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এবারের বন্যায় ধান নষ্ট হওয়ার ফলে মানুষ খাদ্যর অভাবে পড়বে। এ ব্যাপারে সরকারি, বেসরকারি, দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও সমাজের বিত্তবানদেরকে এগিয়ে আসতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন অনুসন্ধানী টিম।

(দ্য রিপোর্ট/কেএনইউ/এপি/এপ্রিল ২৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর