thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

কুবির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে লুকোচুরির অভিযোগ

২০১৭ এপ্রিল ২৭ ২০:৩৩:২৭
কুবির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে লুকোচুরির অভিযোগ

কুবি প্রতিনিধি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষক এবং কর্মকর্তা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ক্যাম্পাসে চলছে নানা গুঞ্জন। পছন্দের প্রার্থীদের জন্য আবেদনের যোগ্যতা নির্ধারণ নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে নানা কৌশল অবলম্বন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, এমনই অভিযোগ করেছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, গত ২৫ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বেশকিছু বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেখানে ইংরেজি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর যোগ্যতা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে উঠেছে নানা প্রশ্ন। উল্লেখিত পদে প্রার্থীর যোগ্যতা নির্ধারণে বলা হয় প্রার্থীকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উভয়টিতে ৫৫ শতাংশ নাম্বারসহ দ্বিতীয় শ্রেণী অথবা ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.৩৫ থাকতে হবে। এছাড়াও প্রার্থীর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণেও রয়েছে নানা সমালোচনা। সেখানে বলা হয় এসএসসি এবং এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ অথবা যেকোন একটিতে জিপিএ ৪.০০ এবং অন্যটিতে জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইংরেজি বিভাগের বেশ কয়েকজন শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশের কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় শ্রেণী নির্ধারণ করা হয় না। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট কোন প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য এই ধরনের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রার্থীর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে যেখানে একটিতে জিপিএ ৪ চাওয়া হল সেখানে কেন অপরটিতে জিপিএ ৩.৫০ চাওয়া হল।

এদিকে, গত ২০ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে কর্মকর্তা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রশাসন। এ বিজ্ঞপ্তি নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন। এ বিজ্ঞপ্তিতে পিএস টু ভিসি, জনসংযোগ কর্মকর্তাসহ কম্পিউটার অপারেটরের জন্য যোগ্যতা নির্ধারণে বলা হয়েছে প্রার্থীকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। তবে একই বিজ্ঞপ্তিতে মেডিকেল অফিসারের জন্য বলা হয়েছে প্রার্থীকে স্বীকৃত যেকোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিবিএস ডিগ্রিধারী হতে হবে।

বিজ্ঞপ্তির এ অসঙ্গতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেছেন, ‘বর্তমান উপাচার্য প্রশাসনকে আত্মীয়করণ করার লক্ষ্যে মেডিকেল অফিসারের মত গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রার্থীর এ ধরনের যোগ্যতা নির্ধারণ করেছেন।’

নিযোগ বিজ্ঞপ্তির অসঙ্গিতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফ বলেছেন, ‘ইংরেজি বিভাগে প্রার্থীর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা আমি নির্ধারণ করিনি। এটা বিভাগ থেকে অনুষদ হয়ে আমার কাছে এসেছে। আর যোগ্যতার ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসির রেজাল্টের চেয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের রেজাল্টই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এসএসসি ও এইচএসসির রেজাল্টের ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।’

অপরদিকে, মেডিকেল অফিসার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির যোগ্যতা সম্পর্কে উপাচার্য বলেছেন, ‘মেডিকেল সেটা সরকারি হোক আর বেসরকারি হোক সবগুলোই কোন না কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভূক্ত। তাই সকলকেই স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সনদ নিতে হবে। তাই এখানে কোন প্রশ্ন ওঠার তো কথা না।’

(দ্য রিপোর্ট/এজে/এপি/এপ্রিল ২৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর