পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ

খুলনা ব্যুরো : রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তার স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে রেফায়েত উল্লাহ’র বিরুদ্ধে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি মামলাও দায়ের করেছেন তার স্ত্রী নাছরিন আক্তার রুমা।

রুমা জানান, গত ১৮ জানুয়ারি তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এরপর গত ৭ মার্চ আদালত রেফায়েত উল্লাহ’র বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তবে পরোয়ানা জারির পরও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। বরং তার স্বামী তাকে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য নিয়মিত চাপ প্রয়োগ করছেন।

মামলা প্রত্যাহারে চাপ দিতে তার স্বামী খুলনায় এসে ৫ লাখ টাকা দিয়ে সন্ত্রাসী ভাড়া করেছেন বলেও অভিযোগ করেন নাছরিন আক্তার রুমা।

রেফায়েত উল্লাহ ছিলেন চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর তাকে ক্লোজড করে চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। নাছরিন আক্তার রুমার পৈত্রিক বাড়ি খুলনার খালিশপুরে।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নাছরিন আক্তার রুমা। সংবাদ সম্মেলনে রুমা অবিলম্বে রেফায়েত উল্লাহ’র গ্রেফতারের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রুমা বলেন, ‘তাদের ১৮ বছরের সংসার জীবনে দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার ওসি থাকাকালে তার স্বামী রেফায়েত উল্লাহ মাদক ব্যবসা ও সোনা চোরাচালানের পাশাপাশি একইসঙ্গে হ্যাপী চৌধুরী নামে এক মহিলার পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এর প্রতিবাদ করলে তাকে নির্যাতন করা হতো। ঘটনা শুনে তার বৃদ্ধ বাবা খুলনা থেকে চট্টগ্রাম গেলে তার সামনেও তাকে নির্যাতন করা হয়। ঘটনায় হতবাক হয়ে তার বাবা চট্টগ্রামে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। বাবার লাশ নিয়ে খুলনা আসার পর খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা দায়ের করেন রুমা।’

রুমা আরও বলেন, ‘মামলা দায়েরের পরপরই আমি মামলার কপিসহ পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) লিখিতভাবে বিষয়টি জানাই। কিন্তু তারপরও কোনো প্রতিকার না পেয়ে এবং নিরাপত্তার জন্য আমি এই সংবাদ সম্মেলন করছি।’

এ প্রসঙ্গে জানতে রেফায়েত উল্লাহ’র সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

(দ্য রিপোর্ট/এস/এপি/এপ্রিল ২৯, ২০১৭)