thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ 24, ১৪ চৈত্র ১৪৩০,  ১৮ রমজান 1445

২০১০ সালের ধকল কাটিয়ে উঠেছে শেয়ারবাজার

২০১৭ এপ্রিল ২৯ ২৩:২৬:০৮
২০১০ সালের ধকল কাটিয়ে উঠেছে শেয়ারবাজার

২০১০ সালের ভয়াবহ ধসের ধকল কাটিয়ে উঠেছে দেশের শেয়ারবাজার। মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত, আর্থিক লেনদেন, নতুন বিনিয়োগকারীর আগমনসহ বাজারের অন্যান্য সূচকের মাধ্যমে ধকল কাটিয়ে উঠার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তবে ধকল কাটিয়ে উঠলেও পুরোপুরি স্বাভাবিক গতিতে ফিরে আসেনি বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।

২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে দ্বিতীয়বারের মতো দেশের শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধসের ঘটনা ঘটে। এতে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী শুধু তাদের পুঁজিই হারাননি, মার্জিন ঋণের কারণে উল্টো দেনার দায়ের বোঝাও চাপে তাদের ঘাড়ে। কয়েকজন বিনিয়োগকারীর আত্মহত্যার মতো হৃদয় বিদারক ঘটনাও ঘটেছে।

ওই ধসের পর দীর্ঘস্থায়ী মন্দার কবলে পড়ে দেশের শেয়ারবাজার। মন্দা ঠেকাতে প্রণোদনা প্যাকেজ, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের মার্জিন লোনের সুদ মওকুফ, আইপিওতে কোটা সুবিধা প্রদান, ফোর্সড সেল বন্ধ ও মার্জিন ঋণের কারণে যেসব বিনিয়োগকারীদের ইক্যুয়িটি ঋণাত্মক হয়ে গেছে সেসব একাউন্টে লেনদেন সুবিধাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও বাজারে তার সুফল মেলেনি।

১৯৯৬ সালে দেশের শেয়ারবাজারে প্রথমবারের মতো ধসের ঘটনা ঘটেছিল। সে ধস কাটিয়ে উঠতে এক দশকের মতো সময় লেগেছিল। ১৯৯৬ সালে শুধু ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। কিন্তু ২০১০ সালের ধসের ঘটনায় ব্যক্তি বিনিয়োগকারীর পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছিল। ১৯৯৬ সালের তুলনায় ২০১০ সালের ধসের ঘটনা শেয়ারবাজারে অনেক বেশি ক্ষত সৃষ্টি করেছিল।

এ কারণে ২০১০ সালের ধসের পর অনেক বিশ্লেষক মত দিয়েছিলেন, এ ধকল কাটিয়ে উঠতে এক দশক কিংবা এক যুগের বেশি সময় লাগবে।

তবে তার আগেই বাজার সে ধকল কাটিয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, ‘২০১০ সালের ধকল অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে বাজার। তবে এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক গতিতে ফিরে আসেনি।’

ধকল কাটিয়ে উঠার ক্ষেত্রে নিয়ামক হিসাবে কোনটি কাজ করেছে?-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘বাজার তার নিজস্ব শক্তিতেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য সময়্ও একটি বড় ফ্যাক্টর। ৭ বছর একটি পুঁজিবাজারের জন্য কম সময় নয়। এ ছাড়া বাজারে এখন ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর সংখ্যাও বেশি হওয়ায় বাজার ধকল কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ আবু আহমেদ দ্য রিপোর্টকে বলেছেন, ‘লেনদেন, সূচক ও পিই অনুপাতের বিবেচনায় পুঁজিবাজার বর্তমানে যে অবস্থায় রয়েছে, এটিকে স্বাভাবিক বলা যায়। ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা ছিল অস্বাভাবিক। বাজার যেন সে পরিস্থিতির দিকে আবার না যায় সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘যদি ভালো কোম্পানির শেয়ার আনা যায় তাহলে বাজার আরও গতিশীল হবে।’

সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান প্রাইম অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈন আল কাশেম দ্য রিপোর্টকে বলেছেন, ‘বাজার এখন অনেকটা জ্বর সারার মতো অবস্থায় রয়েছ। জ্বর সেরে গেলেও যেমন শরীর দুর্বল লাগে তেমনি ২০১০ সালের ধকল কাটিয়ে উঠলেও এখনও স্বাভাবিক গতিতে আসেনি বাজার।’

ধসের পর নেওয়া পদক্ষেপগুলো বাজারের জন্য নেতিবাচক না হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট ফেরাতে সহায়ক হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র ও পুঁজিবাজারের তথ্য পর্যালোচনার মাধ্যমে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে দেশের শেয়ারবাজারে প্রথমবারের মতো ভয়াবহ ধসের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার লেনদেন হলেও ওই সময় কাগজের শেয়ারে লেনদেন হতো। কাগজের শেয়ার সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেডিং ফ্লোরে ব্রোকাররা নিলাম ডাকতেন। কিন্তু বাজার চাঙ্গা হতে শুরু করলে ডিএসইর ট্রেডিং ফ্লোর ছাড়িয়ে কেনাবেচা মতিঝিলের রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। স্বল্প সময়ে ধনী হওয়ার নেশায় হাজার হাজার মানুষ না জেনেই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ শুরু করে। এ সুযোগে কারসাজি চক্রের হোতারা শেয়ারের জাল সার্টিফিকেট বানিয়ে বাজারে চড়া দামে বিক্রি শুরু করে। অবশেষে বাজারে ধস নামলে সব হারিয়ে পথে বসে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ।

১৯৯৬ সালের জানুয়ারিতে ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৮০০-এর ঘরে। ১০ মাসের ব্যবধানে নভেম্বরের ৫ তারিখে তা ৩ হাজার ৬৪৮ পয়েন্ট ছাড়িয়ে যায়। এরপর বাজারে ধস শুরু হলে ডিসেম্বরে সূচক ২ হাজার ৩০০ পয়েন্টের নিচে নেমে যায়। এক বছরের ব্যবধানে ১৯৯৭ সালের শেষ সপ্তাহে সূচক নেমে আসে ৭৫০ পয়েন্টের ঘরে। ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে ৫৪০ পয়েন্টে এবং ১৯৯৯ সালের শেষ দিকে ৫০০ পয়েন্টের নিচে নেমে যায় সূচক।

স্বল্প সময়ে ধনী হওয়ার নেশায় যারা বাজারে এসেছিলেন, এ ধসের ফলে তাদের সে মোহ ভেঙ্গে যায়। পুঁজি হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে বাজার ছেড়ে চলে যান তারা। ফলে এক দশকের মন্দার কবলে পড়ে বাজার।

১৯৯৬ সালের ধস কাটিয়ে ২০০৬ সালের দিকে স্বাভাবিক হতে শুরু করে বাজার। নতুন বিনিয়োগকারীদের আগমনে বাজারে লেনদেন বাড়তে শুরু করে। যদিও ওই সময়ে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের দৈনিক লেনদেন ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। ২০০৬ সালে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ২৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেন সরকার ক্ষমতায় আসার এক সপ্তাহের মাথায় ১৮ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো ডিএসইতে ১০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়। ২০০৭ সালে গড় লেনদেন হয় ১৩৬ কোটি টাকা।

২০০৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর শেয়ারবাজারের পালে যেন নতুন হাওয়া লাগে। ২০০৮ সালে ডিএসইতে গড় লেনদেন বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ২৮১ কোটি ৮৪ লাখ টাকায়। কাগজের শেয়ারের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার লেনদেনের কারণে ১৯৯৬ সালের পুনরাবৃত্তির কোনো আশঙ্কা নেই, ডিএসইর শীর্ষ পর্যায় থেকে এমন আশ্বাসও দেওয়া হয়। ফলে ১৯৯৬ সালের দুঃসহ স্মৃতি ভুলে গিয়ে নতুন স্বপ্ন নিয়ে সাধারণ মানুষ ফের শেয়ারবাজারমুখী হতে শুরু করেন। বিনিয়োগ মন্দা, ব্যাংকের আমানতের ও সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমে যাওয়া, শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগসহ শেয়ারক্রয়ে মার্জিন লোন সুবিধার কারণে ২০০৯ সালে শেয়ারবাজারের লেনদেনে বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটে। ২০০৯ সালের ২ জুলাই প্রথমবারের মতো ডিএসইতে হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয় এবং বছর শেষে গড় লেনদেন গিয়ে দাঁড়ায় ৬০৪ কোটি টাকায়।

বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠায় প্রতিদিনই হাজার হাজার বিনিয়োগকারীর আগমন ঘটতে থাকে শেয়ারবাজারে। বাজার সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকা সত্ত্বেও শুধু লোভের বশবর্তী হয়ে বাজারে বিনিয়োগ করেন তারা। আইন অমান্য করে ব্যাংকগুলোও বিনিয়োগসীমার অতিরিক্ত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে। ফলে ২০১০ সালের ২ ডিসেম্বর একদিনেই ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয় ডিএসইতে। ২০১০ সালে ডিএসইতে গড় লেনদেন হয় ১ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা।

কিন্তু বাজারে চাহিদার তুলনায় শেয়ার সরবরাহ না থাকায় প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের মূল্যের বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটে। বাজার মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তৎকালীন কমিশনার মনসুর আলমের স্বাক্ষরে জারি করা দুটি সার্কুলারকে কেন্দ্র করে ২০১০ সালের ৮ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারে ধস নামতে শুরু করে। নেটিং সুবিধার অপব্যবহার করে শেয়ারবাজারে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের গ্রাহকের হিসাব থেকে শেয়ার বিক্রির আগেই এর বিপরীতে শেয়ার কেনার সুযোগ বন্ধ এবং চেক জমার পর ক্লিয়ারিং হয়ে নগদ টাকা জমা না হওয়া পর্যন্ত ওই টাকায় শেয়ার কেনা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয় ওই সার্কুলার দুটিতে। পরবর্তীতে সার্কুলার দুটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও বাজারে ধস ঠেকানো যায়নি।

২০১০ সালে ধস শুরুর আগে ৫ ডিসেম্বর ডিএসইর ওই সময়ের প্রধান সূচক ডিজিইএন সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৯১৮ পয়েন্টে উন্নীত হয়। ৮ ডিসেম্বর ধস শুরুর তিন মাসেরও কম সময়ে ২০১১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সূচক ৫ হাজার ২০৩ পয়েন্টে নেমে আসে। ২০১২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ডিএসই সূচক নেমে আসে ৩ হাজার ৬১৬ পয়েন্টে। নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও ২০১৩ সালের জুলাই পর্যন্ত দেওয়া তথ্যনুযায়ী, ডিজিএন সূচক সাড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৪ হাজার পয়েন্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।

অবশ্য ডিজিএন এর পরিবর্তে ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি ৪০৫৫ পয়েন্ট দিয়ে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) এর যাত্রা শুরু হয়। তবে এ সূচকটিও সাড়ে ৩ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছিল।

বর্তমানে ডিএসইএক্স সূচকটি সাড়ে ৫ হাজার পয়েন্টের কাছাকাছি অবস্থান করছে। চলতি ২০১৭ সালের শুরু থেকে ডিএসইর এ সূচকটি ৫ হাজার পয়েন্টের উপরই অবস্থান করছে।

এদিকে ২০১০ সালে ধসের পর বাজার লেনদেন অনেকটাই তলানীতে নেমে আসে। ২০১১ সালে গড় লেনদেন হয় ৬৬৪ কোটি টাকা। ২০১২ সালে তা আরও কমে ৪২০ কোটি টাকা, ২০১৩ সালে ৪০০ কোটি টাকা, ২০১৪ সালে কিছুটা ৪৯৯ কোটি টাকা, ২০১৫ সালে ৪২২ কোটি টাকা ও ২০১৬ সালে গড় লেনদেন হয়েছে ৪৯৪ কোটি টাকা। তবে চলতি ২০১৭ সালে লেনদেন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। দৈনিক লেনদেন ১ হাজার থেকে ৭০০ কোটি টাকা হচ্ছে।

এ ছাড়া, বাজার পরিস্থিতি মূল্যায়নে মূল্য-আয় (পিই) অনুপাতকে অন্যতম ভিত্তি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ মার্চের হিসাব অনুযায়ী, ডিএসইর পিই হচ্ছে ১৬.৩২। অস্বাভাবিক উল্লম্ফনের ফলে ২০১০ সালে শেয়ারবাজারের পিই ছিল ২৯.১৬। ২০১১ সালে তা নেমে এসেছিল ১৩.৬৮-তে। ২০১২ সালে তা আরও কমে দাঁড়িয়েছিল ১২.০৭-তে। মূল্য-আয় অনুপাত হচ্ছে, শেয়ারের বাজার দর ও শেয়ারপ্রতি আয়ের অনুপাত। স্বাভাবিক বাজারের পিই অনুপাত ১৫ থেকে ২০ এর মধ্যে হওয়া উচিত বলে বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। সে হিসাবে বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে।

তবে তারা বলেন, বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার অর্থ এই নয় যে, ধসের ঘটনায় যারা পুঁজি হারিয়েছেন তারা সে হারানো পুঁজি ফিরে পাবেন। স্বাভাবিক অবস্থা বলতে দীর্ঘ মেয়াদী মন্দা কিংবা অস্বাভাবিক উল্লম্ফনের মতো পরিস্থিতি বিরাজ না করা।

(দ্য রিপোর্ট/এমকে/জেডটি/এপ্রিল ২৯, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর