thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

পহেলা রমজান থেকে মাংস বিক্রি বন্ধের হুমকি

২০১৭ এপ্রিল ৩০ ১২:০০:৫৮ ২০১৭ এপ্রিল ৩০ ১২:২৫:০০
পহেলা রমজান থেকে মাংস বিক্রি বন্ধের হুমকি

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ইজারাদারের চাঁদাবাজিতে মাংসের দাম বেড়ে গেছে। এতে গরু ও খাসির চাহিদা কমেছে। ফলে দেশের অর্ধেকেরও বেশি মাংসের দোকান বন্ধ হয়েছে। এমতাবস্থায় আগামি ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা না হলে, ১ রমজান থেকে সারাদেশে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে মাংস ব্যবসায়ীরা।

রবিবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কর্মবিরতির ঘোষণা দেন বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা রবিউল আলম। এ সময় সংগঠন দুটির অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

রবিউল আলম বলেন, বর্তমানে ১ কেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকা ও খাসির মাংস ৮০০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। অন্যদিকে মাত্র ২০০ টাকা কেজি পাওয়া যাচ্ছে মুরগির মাংস। যাতে গরু ও খাসির মাংসের চাহিদা তলানিতে নেমে গেছে। এমতবস্থায় সারাদেশের ১ লাখের বেশি মাংসের দোকান এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ইজারাদারের চাঁদাবাজি।

তিনি বলেন, গাবতলী গরু হাটের ইজারাদার শর্ত ভঙ্গ করে জনগণের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা লুট করছে। ঢাকা শহরে ১টি মাত্র গরুর হাট হওয়ায়, মাংস ব্যবসায়ীরা ইজারাদারের অত্যাচার সহ্য করে গরু কিনে। অথচ মাংস ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না। উল্টো ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তাদের আতাতে খাজনা দ্বিগুণ করা হয়েছে। এছাড়া হুন্ডি বেড়েছে ও সীমান্ত খরচ বেড়েছে। যাতে মাংসের দামও বেড়েছে। এই চাঁদাবাজি রোধ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনতে পারলে মাংসের দাম কমে যাবে।

এদিকে ইজারাদার গাবতলি গরু হাটে মাংস ব্যবসায়ীদের জন্য নির্মিত মেয়র হানিফ আশ্রয় কেন্দ্র ও মাংস ব্যবসায়ীদের সমিতিতে তালা মেরে দিয়েছে বলে জানান রবিউল ইসলাম। যাতে সমিতির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে এবং লাগামহীন মাংস ব্যবসা চলছে। এই তালা খোলার ব্যবস্থা করা না হলে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সকল কার্যক্রম বন্ধ করার করা হবে বলে জানিয়েছেন।

অনেক অনিয়মের কথা জানলেও দেশের স্বার্থে মিডিয়ায় সবকিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন রবিউল ইসলাম। যেসব সমস্যার সমাধান হলে গরুর মাংস ৩০০ টাকা ও খাসির মাংস ৫০০ টাকা কেজি পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি। এই সমস্যা সমাধনের সরকার চাইলে, বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে।

দেশের মাংস ব্যবসায়ীদের স্বার্থে আইনজীবীদের সহযোগিতা চেয়েছেন রবিউল ইসলাম।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে সব ডকুমেন্টস আছে, এক্ষেত্রে একজন আইনজীবীর সহযোগিতা প্রয়োজন। অনেক বিষয়েইতো কত হৃদয়বান আইনজীবীরা স্বউদ্যোগে কাজ করেন। এক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করলে, মাংসের দাম কমে আসতে পারে।

(দ্য রিপোর্ট/আরএ/এআরই/এপ্রিল ৩০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর