thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

ডিআরইউতে সাংবাদিক ওমর ফারুকের জানাজা

২০১৭ এপ্রিল ৩০ ১৪:০৪:৪৯
ডিআরইউতে সাংবাদিক ওমর ফারুকের জানাজা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিনিধি ওমর ফারুকের প্রথম জানাজা তার প্রিয় সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুর দেড়টায় অনুষ্ঠিত এ জানাজায় তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিক সহকর্মী ও বন্ধুরা অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে রবিবার (৩০ এপ্রিল) ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওমর ফারুক।ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫১ বছর।

দুপুর পৌনে একটার দিকে মরহুম ওমর ফারুকের মরদেহ ডিআরইউ প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়। সেখানে এক হৃদয়বিদারক ঘটনার দৃশ্যের অবতারণা হয়। দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও বন্ধু সাংবাদিক ওমর ফারুককে হারিয়ে অনেকেই চোখে পানি ধরে রাখতে পারেননি। ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা জানাজা পূর্ব বক্তৃতায় মরহুমের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। এরপর একের পর এক বক্তৃতায় দিতে গিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেন সাংবাদিক নেতা ও সহকর্মীরা।

ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানীর সঞ্চালনায় জানাজাপূর্ব বক্তৃতায় ওমর ফারুকের স্মৃতিচারণ করেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশ সভাপতি শওকত মাহমুদ, মহাসচিব ওমর ফারুক ও এম আব্দুল্লাহ, সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভুইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাবান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী ও জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শাহেদ চৌধুরী, বাংলা ট্রিবিউনের হেড অব নিউজ হারুন অর রশিদ এবং মরহুমের বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা শামসুজ্জামান বাবলু।

সাংবাদিক নেতারা মরহুম ওমর ফারুককে একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিক উল্লেখ করে তার পরিবারের কোনো সদস্যকে সিটি করপোরেশনে চাকুরিসহ সব ধরণের সহযোগিতার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের প্রতি অনুরোধ করেন।

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন ওমর ফারুক। সাংবাদিকদের এই প্রিয় মুখকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ডিআরইউতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি তার বক্তৃতায় সাংবাদিক নেতাদের দাবির প্রতি সমর্থনজ্ঞাপন করে বলেন, ওমর ফারুকের মৃত্যুতে তার পরিবারে যে অপূরণীয় হয়েছে তা পূরণ হবার নয়। আমার পক্ষ থেকে যা যা করা সম্ভব আমি করবো। চাকরিসহ অন্যান্য বিষয়গুলো আমি দেখব। এ সময় তিনি অন্যদেরও ওমর ফারুকের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

জানাজায় দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, ডিআরইউ সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন ও রাজু আহমেদসহ সাংবাদিক নেতাদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

ডিআরইউ প্রাঙ্গণে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার কর্মস্থল বাংলা ট্রিবিউনে। সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বাদ আসর মীর রাজধানীর হাজিরবাগ খালপাড় জামে মসজিদে তার শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে সৎ ও কর্মনিষ্ঠাবান সাংবাদিককে সমাহিত করা হবে।

এর আগে শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে অফিসে প্রবেশের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সংবাদ সংগ্রহ শেষে শনিবার বেলা দেড়টার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর থেকে অফিসের গেটে এসে পৌঁছার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

সঙ্গে সঙ্গে সহকর্মীরা তাকে স্কয়ার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করিয়ে দেন। সেখানে ইসিজি ও এনজিওগ্রাম করার পর হার্টের শিরায় দু’টি ব্লক ধরা পড়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাৎক্ষণিকভাবে সিসিইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। শুরুতে রিং পড়াতে চাইলেও কিছু জটিলতা দেখা দেওয়ায় তার বাইপাস সার্জারির প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।

ওমর ফারুক কর্মজীবনে দৈনিক সমাচার, দৈনিক রুপালি, দৈনিক আজকের কাগজ, দৈনিক যুগান্তর ও বাংলা ট্রিবিউনে কাজ করেছেন। তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্থায়ী সদস্য। মৃত্যুকালে স্ত্রী ও দুই কন্যা রেখে গেছেন তিনি।

পাঁচ ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। তার প্রথম মেয়ে ফারিহা ওমর ইরা দশম শ্রেণিতে পড়ে এবং দ্বিতীয় মেয়ে দীপিকা ওমর দিয়া ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। তার স্ত্রী সানজিদা ওমর সৈকত।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এপ্রিল ৩০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর