thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ 24, ১৫ চৈত্র ১৪৩০,  ১৯ রমজান 1445

দুই লক্ষ টাকা পাবে বয়লার বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবার

২০১৭ এপ্রিল ৩০ ১৪:৩৪:০০
দুই লক্ষ টাকা পাবে বয়লার বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবার

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক দিনাজপুরের বয়লার বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারকে দুই লক্ষ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘মহান মে দিবস ও শ্রমিক প্রেক্ষিত : টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজন নিরাপদ কর্মস্থল, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার ও বাঁচার মত মজুরী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।

মহান মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন (বিএলএফ) এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।

প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, এখন থেকে দুর্ঘটানায় কোনো শ্রমিকের মৃত্যু হলে তার পরিবারকে শ্রম আইনের বাইরে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। শুধু গার্মেন্টস শ্রমিকই নয় অন্যান্য অপ্রতিষ্ঠানিক শ্রমিকরাও দুর্ঘটনায় মারা গেলে ২ লক্ষ টাকা করে পাবেন।

তিনি বলেন, আমি দিনাজপুরে যাব এবং সেখানে বয়লার বিস্ফোরণে নিহত শ্রমিকদের পরিবারের অবস্থা দেখে ২ লক্ষ টাকা করে দেব। শিল্প মালিকের লাভের ৫ ভাগ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, যেখানে সৃষ্টি হয়েছে সেই আমেরিকায় এখন আর পহেলা মে পালিত হয়না। অথচ স্বাধীনতার শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পহেলা মে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। এখন শ্রমিকসহ জনগণের অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আজ থেকে ৩০/৪০ বছর আগে মানুষ না খেয়ে রাস্তায় পড়ে থাকতো। এখন এই দৃশ্য দেখা যায় না। তখন গ্রামে গ্রামে দুই চারটি টিনের ঘর ছাড়া বাকি সবই ছিল ছোনের (খড়) ঘর। আর এখন ছোনের ঘর তো দূরের কথা টিনের চালও দেখা যায় না। বাড়ি বাড়ি ভিক্ষে করেও সেদিন দিনে ২ কেজি চাল জোটানো যেত না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এক এক ধরণের কাজের মূল্য এক এক ধরনের। যিনি শিল্পের মালিক। তিনি অনেক টাকা ইনভেস্ট করে শিল্প গড়েন। তার সঙ্গে আমার তুলনা হবেনা। তিনি সোনার গায়ে সকাল দুপুর ও রাতের খাবার খেতে পারেন। কিন্তু তাই বলে আমি সোনার গাঁ হোটেলে নাস্তা খাওয়ার যোগ্য হইনি। আমি নিজে সেকেন্ডহ্যান্ড মার্কেট থেকে কাপড় কিনে অলটার করে পরেছি। এসব নিয়ে হিংসে করে লাভ নেই। এখন খাওয়ার এবং কাপড়ের ব্যবস্থা হয়েছে। বাকী সবও একদিন হবে।

তিনি বলেন, সরকার শ্রমজীবীদের জন্য অনেক কল্যাণকর কর্মসূচি নিয়েছে। যথাসাধ্য করছে এবং সাধ্যমত সব চেষ্টা করবে। শিল্প কারখানায় কর্মপরিবেশ ও কর্মস্থলে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শুধু শিল্প শ্রমিকদের নিয়ে ভাবলেই চলবে না। বাসা বাড়ির শ্রমিকদের নিয়েও ভাবতে হবে। তাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে হবে। অনেক শ্রমিক নেতা তার নিজের বাসাবাড়ির শ্রমিককে ২৪ ঘন্টা কাজ করান। তাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেন। এসব বিষয়ও ভাবনার সময় এসেছে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, শ্রমিক নেতা বদরুদ্দোজা নিজাম, নূরুল ইসলাম প্রমুখ। আলোচনা সভায় নির্ধারিত বিষয়ে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন (বিএলএফ) এর মহাসচিব জেড. এম. কামরুল আনাম। সভাপতিত্ব করেন, ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান।

(দ্য রিপোর্ট/এমএম/এআরই/এপ্রিল ৩০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর