thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল 24, ১০ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৪ শাওয়াল 1445

হাকালুকি পাড়ে এক ঘন্টায় ওএমএসের চাল শেষ

২০১৭ মে ০৮ ২২:২৩:২৬
হাকালুকি পাড়ে এক ঘন্টায় ওএমএসের চাল শেষ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : হাকালুকি হাওর তীরের মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ৭ ইউনিয়ন, জুড়ীর ৩ ইউনিয়ন ও বড়লেখা উপজেলার ৪ ইউনিয়নের বোরো ফসল হারানো ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে শুরু হয়েছে ওএমএস’র এর চাল বিক্রি। তবে সংশ্লিষ্ট ডিলারদের দোকানে চাল বিক্রি শুরুর এক ঘন্টার মধ্যেই ওএমএসের সব চাল শেষ হয়ে যাওয়ায় শত শত দুর্গত নারী-পুরুষ চাল না নিয়েই ফিরে গেছেন। হাওরপারের ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের দাবি হাওরপারে যেন ডিলার ও চালের সরবরাহ বৃদ্ধি করা হয়।

জানা গেছে, কুলাউড়ার ৭ ইউনিয়নে ৪ মে, জুড়ীর ৩ ইউনিয়নে ৭ মে ও বড়লেখার ৪ ইউনিয়নে ৮মে থেকে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতি পরিবার ১৫ টাকা দরে প্রতিদিন ৫ কেজি চাল ক্রয় করতে পারে। প্রতি ডিলারকে প্রতিদিন বিক্রির জন্য ১ টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতিদিন ২শত পরিবার চাল ক্রয় করতে পারবেন। কিন্তু বিক্রি শুরু করতেই দোকানে ৪/৫ শ’ মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। চালের সরবরাহ বৃদ্ধি না করলে খোলাবাজারে চাল বিক্রিতে মারাত্মক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশংকা রয়েছে।

সরেজমিনে হাকালুকি হাওর পাড়ের কুলাউড়ার ভুকশিমইল, ভাটেরা, বরমচাল ও কাদিপুর, বড়লেখার তালিমপুর সদর ইউনিয়ন বর্নি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় চাল বিক্রি শুরুর এক ঘন্টার মধ্যে চালের মজুদ শেষ হয়ে যায়। বিক্রয় কেন্দ্রে শত শত দুর্গত মানুষকে চালের জন্য হাহাকার করতে দেখা যায়। তবে এই বরাদ্দ ক্ষতিগ্রস্তের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দুর্গতরা।

ভুকশিমইল ইউনিয়নের কুরবানপুর গ্রামের করিম মিয়া, আব্দুল জব্বার, কাদির মিয়া, সাদিপুর গ্রামের আব্দুর রহিম জব্বার মিয়া জানান, এত কষ্ঠে করে চাল নিতে ৬ কিলোমিটার দূরে এসেছি কিন্তু লাইনে দাঁড়িয়ে চাল পাইনি। বাড়িতে গেলে খাব কি?

চালের ডিলার বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নে রেজাউল হোসেন, সদর ইউনিয়নে সায়ফুর রহমান, বর্নি ইউনিয়নের সুমন চন্দ্র দাস ও সুজানগর ইউনিয়নে মো. ছায়াদ আহমদ জানান, দোকানগুলো থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি পরিবার ১৫ টাকা দরে প্রতিদিন ৫ কেজি করে চাল ক্রয় করতে পারবেন। অসহায় কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে সরকারি উদ্যোগে ডিলার নিয়োগ করা হয়। ডিলাররা জানান প্রতিদিন তারা যে বরাদ্ধ পান সেই অপ্রতুল চাল দিয়ে আগতদের সন্তুষ্ট করা সম্ভব নয়। তাই বরাদ্ধ বাড়ানোর দাবি তাদের।

বড়লেখা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল জানান, ৪ ডিলারের মাধ্যমে হাওরপারের চার ইউনিয়নে খোলা বাজারে সোমবার থেকে চাল বিক্রি চলছে। চালের সরবরাহ ও ডিলার বৃদ্ধির ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেবেন।

ভুকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির, কাদিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ছালাম বলেন, যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তা পর্যাপ্ত নয়। আজকে (সোমবার) চাল বিক্রি শুরু হলে ২শত পরিবারের বিপরীতে প্রায় ৭শত পরিবার চাল ক্রয় করতে আসে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি বরাদ্দ যেন আরও বৃদ্ধি করা হয়।

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী মো. গোলাম রাব্বী জানান, চাহিদার তুলনায় চাল অপ্রতুল সেটা জেনেছি। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে আলাপ করে বৃদ্ধি করার চেষ্টা করব।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/মে ০৮, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর