thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

মাকে আর একটু বোঝার চেষ্টা করব না?

২০১৭ মে ১৩ ১৬:০৭:২২
মাকে আর একটু বোঝার চেষ্টা করব না?

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার। অর্থাত্ সেই বিশেষ দিন। মাদার্স ডে। সারা বিশ্বের কাছে এই দিনের আবেদন একই।

মা মানেই জীবনের সেই মানুষ যে আমাদের সুখ-দুঃখ, হার-জিত্, সব সময়ের একনিষ্ঠ বন্ধু। যে মা সবচেয়ে বড় বন্ধু হতে পারে, কখনও কখনও সেই মায়ের উপরই আমরা বিরক্ত হয়ে উঠি।

মা বুঝতে পারছেন না, জীবনে অনধিকারচর্চা করছেন, বাধা দিচ্ছেন— এই সব অভিযোগে মায়ের থেকে দূরে সরে যাই আমরা। আসলে মায়েরা যেমন আমাদের বুঝতে পারেন না, আমরাও অনেক সময় মায়েদের বুঝে উঠতে পারি না।

বিশ্ব মা দিবসে ভেবে দেখতে পারেন এগুলো-

মা মানে মা-ই

সন্তানের যত বয়সই হোক, যতই স্বাবলম্বী হোক না কেন মায়ের কাছে সে সন্তানই থাকে। তাই মায়েরা কখনই সেই চিন্তা থেকে বেরোতে পারেন না। রাগ, অভিমান, তর্ক, বকাবকি, কাজে বাধা দেওয়া সেই সবই আসলে সেই অপত্য স্নেহেরই প্রকাশ। তাই মায়ের উপর বিরক্ত না হয়ে উনি কেন এমন আচরণ করছেন তা বোঝার চেষ্টা করুন। দেখবেন উনিও আপনাকে বুঝতে পারবেন। কারণ, সন্তান তাকে বুঝবে এই প্রত্যাশা সব মায়েদেরই থাকে।

উপদেশ

নিজে মা হলে বুঝবি! এই কথাটা নিশ্চয়ই মায়ের মুখ থেকে শুনেছেন? বড় হয়ে যাওয়ার পর মায়ের উপদেশ শুনতে আমরা অনেকেই বিরক্ত হই। কেন সব ব্যাপারে মতামত দেয়, খিটখিট করে তা নিয়ে অশান্তি করি আমরা। ভেবে দেখবেন, মা কিন্তু তার নিজের ভাবনা অনুযায়ী সেরা উপদেশটাই দিয়ে থাকেন। এবং মায়ের অবস্থানে থেকে উপদেশ না দিয়ে হয়তো থাকাও সম্ভব হয় না সব সময়। অনেক সময়ই যা আমাদের প্রজন্মের কাছে অকেজো হয়তো। রাগারাগি না করে মাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।

জীবনের অংশ

আমাদের জন্মের পর থেকে মায়েদের গোটা জীবনটা জুড়েই থাকি আমরা। সন্তানদের ভালমন্দ, তাদের বেড়ে ওঠা নিয়েই হয় তাদের জগত্। কিন্তু বড় হওয়ার পর আমাদের নিজেদের জগত্ তৈরি হয়। মায়ের থেকে অনেক সময়ই দূরে সরে আসি। মায়েরা কিন্তু আমাদের জীবনের অংশ হতে চান। আমরা যাকে মায়েদের অনধিকারচর্চা, কৌতূহল ভাবি তা আসলে আমাদের জীবন থেকে নিজের হারিয়ে যাওয়ার ভয়। তারা সব সময়ই সন্তানের জীবনের সঙ্গে জুড়ে থাকতে চান।

একাকীত্ব

যত বয়স বাড়ছে তত কি আপনার মা একটু অবুঝ হয়ে উঠছেন? মায়ের উপর বিরক্ত না হয়ে তাকে বোঝার চেষ্টা করুন। ছেলে-মেয়েদের নিয়েই জীবনের একটা বড় সময় কেটে গিয়েছে। তাদের পড়াশোনা, বেড়ে ওঠা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে থাকতেই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়টা কেটে গিয়েছে। ছেলে, মেয়েরা বড় হয়ে যাওয়ার পর অনের মায়েরা একাকীত্বে ভোগেন। যা কিছুটা বয়সের কারণে। তাই মায়ের অবুঝ আচরণে বিরক্ত না হয়ে তার একাকীত্ব বুঝতে চেষ্টা করুন।

সবচেয়ে বড় অবলম্বন

মায়েরা সব সময় আমাদের সাহায্য করতে চান। আমাদের প্রজন্মের সঙ্গে ভাবনা-চিন্তায় পার্থক্য থাকার জন্য হয়তো আমরা মায়েদের সাহায্য বুঝে উঠতে পারি না। সব সময় মাথায় রাখুন আজ আপনি জীবনের যে জায়গায় পৌঁছেছেন, যা পেয়েছেন সেটা তার সাহায্য, অবলম্বনের কারণেই। এবং সেই অবলম্বন সব সময়ই আপনার সঙ্গে থাকবে।

(দ্য রিপোর্ট/এফএস/মে ১৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর