thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

শুল্ক অধিদপ্তরে রেইনট্রির এমডির হাজিরা আজ

২০১৭ মে ২৩ ০৯:৪৭:০৫
শুল্ক অধিদপ্তরে রেইনট্রির এমডির হাজিরা আজ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর দ্য রেইনট্রি হোটেলে মদ পাওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ মোহাম্মদ আদনান হারুনকে মঙ্গলবার (২৩ মে) শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরে হাজিরা দিতে হবে। হোটেলটিতে কেনমদ রাখা হয়েছিল সে বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রেইন ট্রি’র মডি শাহ মোহাম্মদ আদনান হারুন আসতে পারেন বলে ধারণা করছেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

এর আগে দ্য রেইনট্রি হোটেলের এমডি’র আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২২ মে) শুল্ক গোয়েন্দার তলবী নোটিশটি স্থগিত করে হাইকোর্ট। তবে দুপুরেই ওই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর আপিল করে। পরে বিকেল ৪টার দিকে শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হোটেল রেইনট্রি’র মালিককে শুল্ক গোয়েন্দার নোটিশের উপর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশটি ৬ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন।

শুল্ক গোয়েন্দার পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডিএজি এসএম মনিরুজ্জামান যুক্তিতর্ক পেশ করেন।

গত ১৪ মে শুল্ক গোয়েন্দার অভিযানে বনানীর রেইনট্রি হোটেলের ১০১ নং কক্ষে ১০ বোতল মদ পাওয়া যায়। প্রথমে হোটেল কর্তৃপক্ষ আটক মাদককে ‘জুস’ হিসেবে বর্ণনা করে। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে হোটেল থেকে মদ উদ্ধার হয়নি মর্মে দাবি করেন।

১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের পক্ষ থেকে রেইনট্রি হোটেলের এমডি শাহ মোহাম্মদ আদনান হারুনকে হাজির হয়ে তার হোটেলে পাওয়া মদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়।

এদিকে সোমবার (২২ মে) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কেমিকেল টেস্ট রিপোর্টে আটক বোতলের নমুনা পরীক্ষায় ১৩.৪৯% এলকোহল পাওয়া যায়। এই রিপোর্টে আটক পণ্যকে ‘বিদেশী মদ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা হোটেল রেইনট্রি কর্তৃপক্ষকে ১৭ মে তলব করলে তারা অসুস্থতার কথা বলে সময় প্রার্থনা করে। শুল্ক গোয়েন্দা তাদের আবেদনের আলোকে এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে ৬ দিনের সময় দিয়ে ২৩ মে পুনরায় নোটিশ দেয়। কিন্তু আবেদনে অসুস্থতার কথা বলে সময় নিলেও তারা হাইকোর্টে এই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করেন। হাইকোর্টের স্থগিত আদেশ প্রাপ্তির সাথে সাথেই শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর আপিল করে। আপিল বিভাগ শুনানি শেষে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশটি ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে। এর ফলে হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মাদক রাখার দায়ে শুল্ক আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও মানিলন্ডারিং আইনে অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্তে বাধা রইলো না।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/এনটি/মে ২৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর