thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ৯ শাওয়াল 1445

ষোড়শ সংশোধনী : পঞ্চম দিনের আপিল শুনানি চলছে

২০১৭ মে ২৩ ১০:২৬:০৪
ষোড়শ সংশোধনী : পঞ্চম দিনের আপিল শুনানি চলছে

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণ ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থেকে সংসদের হাতে প্রদান করে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানি পঞ্চম দিনের মতো শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ মে) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।

সোমবার (২২ মে) চতুর্থ দিনের মতো শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

সোমবার আদালতে লিখিত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের সংবিধান আমাদের মূল সংবিধান। সেখানে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ছিল। ষোড়শ সংশোধীনর মাধ্যমে সেখানে ফিরে যাওয়া হয়েছে। তাই মূল সংবিধানে ফিরে যাওয়া কখনো মৌল কাঠামোর পরিপন্থি হতে পারে না।

এরপর আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বক্তব্য শুরু করেন। তিনি সংবিধান সংশোধন কমিটির কো-চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে পড়া শুরু করেন। সেই পড়া অসমাপ্ত থাকা অবস্থায়ই সোমবার দিনের শুনানি শেষ হয়।

গত ৮ মে পেপার বুক থেকে রায় পড়ার মাধ্যমে এই মামলার আপিল শুনানি শুরু হয়। ৯ মে দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি হয়। এ দুদিন রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা হাইকোর্টের রায় আদালতে পড়ে শুনান। পরে ২১ মে তৃতীয় দিনের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের লিখিত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন মুরাদ রেজা। ওই দিন শুনানি শেষে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ফের শুনানির জন্য রাখেন আদালত।

সেই অনুযায়ী সোমবার চতুর্থ দিনের মতো শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় আপিল শুনানিতে সহায়তার জন্য ১২ জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেন আপিল বিভাগ।

অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ১২ আইনজীবী হচ্ছেন-বিচারপতি টি এইচ খান, ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, এ এফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ফিদা এম কামাল, ব্যারিস্টার আজমালুল কিউসি, আবদুল ওয়াদুদ ভূইয়া, এম আই ফারুকী।

বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা পুনরায় সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস করা হয়। এরপর তা ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর গেজেট আকারে প্রকাশ পায়। এ অবস্থায় সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নয়জন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

এ আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই সংশোধনী কেন অবৈধ, বাতিল ও সংবিধান পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এ রুলের ওপর শুনানি শেষে গত ৫ মে আদালত সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকের মতামতের ভিত্তিতে ১৬তম সংশোধনী অবৈধ বলে রায় দেন। তিন বিচারকের মধ্যে একজন রিট আবেদনটি খারিজ করেন।

এর মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠদের রায় প্রকাশিত হয় গত ১১ আগস্ট এবং রিট খারিজ করে দেওয়া বিচারকের রায় প্রকাশিত হয় ৮ সেপ্টেম্বর। দুটি মিলে মোট ২৯০ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে পরে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এনটি/এম/মে ২২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর