thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

রেইনট্রিতে উদ্ধার মদ তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর হবে

২০১৭ মে ২৩ ১৭:২৩:২০
রেইনট্রিতে উদ্ধার মদ তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর হবে

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বনানীর দ্য রেইনট্রি হোটেলে পাওয়া মদ ধর্ষণ মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মঈনুল খান।

তিনি বলেছেন, ‘রেইনট্রি হোটেল থেকে যে ১০ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়েছে তা বনানীর দুই তরুণী ধর্ষণ মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। যেহেতু ধর্ষণের ঘটনায় মদের ব্যবহার হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে সেহেতু এটি মামলার একটি গুরুত্বপূর্ণ আলামত। তাই আমরা এ মদ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করবো। আশা করছি, এটি মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।।’

রাজধানীর কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সদর দফতরে মঙ্গলবার (২৩ মে) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেছেন ড. মঈনুল খান।

তিনি আরো বলেছেন, ‘রেইনট্রি থেকে মদ উদ্ধারের পর হোটেল কর্তৃপক্ষ কিন্তু দাবি করেছিল এটা মদ নয়, জুস। তবে আজকের (মঙ্গলবার) জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। তারা স্বীকার করেছে যে এগুলো মদ। তবে তারা এগুলোর কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।’

হোটেলটির এমডি আদনান হারুনের বরাত দিয়ে ড. মঈনুল খান আরো বলেছেন, ‘মালিকপক্ষ এই মদের বোতলের বিষয়ে কিছুই জানতো না বলে দাবি করেছেন আদনান হারুন। তবে জেনারেল ম্যানেজার ফ্যাঙ্ক হেনরি ফোরজেন এবং ফুড কন্ট্রোলার এমদাদুল আমিন দাবি করেছেন, এপ্রিলের ৩০ তারিখের দিকে হোটেলে বেশ কয়েকজন চাইনিজ গেস্ট এসেছিলেন। এই মদগুলো তারাই সেখানে রেখে গেছেন। পরে হোটেলের লোকজন এগুলো উদ্ধার করে ১০১ নম্বর রুমে নিয়ে রাখে। অবৈধ মদ উদ্ধারের বিষয়ে থানায় জিডি অথবা অন্য কোথাও নথিভুক্ত করা হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে এ বিষয়ে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।’

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক আরো বলেছেন, ‘যেহেতু তারা উদ্ধার করা মদগুলোর কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি এবং তাদের কাছে বারের লাইসেন্সও নেই; সুতরাং আমরা আপাতত ধরে নিচ্ছি এগুলো বিপণনের জন্য অবৈধভাবে মজুদ রাখা হয়েছিল। তারপরও মালিক পক্ষ ব্যবস্থাপনা বিভাগের যে দুই কর্মকর্তার বক্তব্য আমাদের কে জানিয়েছেন তা কতটুকু যৌক্তিক জানার জন্য ওই দুইজনকে আজকের মধ্যেই শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে। দুই পক্ষের বক্তব্য যাচাই-বাছাই করে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। এতে মালিক পক্ষ বা কর্মচারী যারাই জড়িত হোক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘যেহেতু এই মদগুলো বিদেশ থেকে আনা, কর ফাঁকি দিয়ে আনা হয়েছে সেহেতু শুল্ক ফাঁকি আইনে মামলা করা হবে। এ ছাড়া মাদক দ্রব্য আইনে ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ থাকবে।’

রেইনট্রি হোটেলের ভ্যাট ফাঁকি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমরা রেইনট্রি হোটেল থেকে যেসব কাগজপত্র জব্দ করেছি তা যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত তারা প্রায় ৮ লাখ ২৭ হাজার টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছেন। তারা এই ভ্যাট কাস্টমারদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছে কিন্তু সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি। ভ্যাট হচ্ছে একটি পরোক্ষ আইন। যার প্রতিষ্ঠান তিনি ভ্যাট আদায় করবেন এরপর তা সরকারি কোষাগারে জমা দেবেন। যারা মনিটরিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন তারা কেন এটা করেননি সেটা তারাই ভাল বলতে পারবেন। তবে এ বিষয়ে আমরা বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ করবো।’

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জেডটি/মে ২৩ , ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর