thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

ভূমিদস্যুদের সহায়তার অভিযোগ : তিন পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

২০১৭ মে ২৩ ১৮:০৪:০৬
ভূমিদস্যুদের সহায়তার অভিযোগ : তিন পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আসমা বেগম নামে এক বিধবার জমি দখলে ভূমিদস্যুদের সহায়তার অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) সরাফত উল্লাহ, পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল হোসেন ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুককে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক এ সিদ্ধান্ত নেন।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভূক্তভোগী নারী অভিযোগ করেন। বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেন।

জানা যায়, গত ৬ মে (শনিবার) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের হানিফ খান মিলনায়তনে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকার মৃত হোসেন আলী সাউদের স্ত্রী আসমা বেগম সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, ‘আসমার বাবার ওয়ারিশ সূত্রে সিদ্ধিরগঞ্জে ৪৯ দশমিক ৫০ শতাংশ সম্পত্তি তার ৭ ভাই বোন ভোগ করে আসছিল। কিন্তু এলাকার প্রভাবশালী সন্ত্রাসী সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার এলাকার আব্দুল্লাহ আল মামুনের ছেলে সাকিব বিন মাহমুদ (৫০), মহসিন, ও মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে মনির জোর করে ওই সম্পত্তি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। গত ২৫ এপ্রিল এ বিষয়ে আদালতে পিটিশন দায়ের করা হলে আদালত শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসিকে আদেশ দেন। আসমা বেগম আদেশের নথি নিয়ে ওইদিন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি সরাফত উল্লাহর সঙ্গে দেখা করতে গেলে উল্টো তার সাথে অশোভন আচরণ করে থানা থেকে বের করে দেয়। পরে সে জানতে পারে ওসি আগে থেকেই আসামিদের থেকে ১৮ লাখ টাকা নিয়ে তাদের সহায়তা করছে। ২৬ এপ্রিল সকাল ১০টায় আসমা আদালতের আদেশ নিয়ে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল হোসেনের সঙ্গে দেখা করলে তিনি ওই আদেশ রাখার জন্য আসমার কাছে দুই হাজার টাকা গ্রহণ করে। এছাড়াও এসআই জাহাঙ্গীর আলম তার ভাই আলীর কাছ থেকে তিন হাজার টাকা নিয়ে নালিশা ভূমিতে আসামিদের কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ২ থেকে ৩ মিনিট পর থানার অপর এসআই ফারুক এসে আসমার ভাই আলীসহ তার মেয়ের জামাতার কর্মচারী ওমর ফারুক ও ইমরানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তখন তাদের ছেড়ে দিতে এসআই ফারুক ৫০ হাজার টাকা দাবি করে এবং ওইদিন রাত ১১টায় থানার ওসির সঙ্গে দেখা করতে বলে। পরে আসমা রাত সাড়ে ১১টায় ৫০ হাজার টাকাসহ তার বাড়ির কর্মচারী দেলোয়ারকে থানায় পাঠাই। এসআই ফারুক সেই টাকা গ্রহণ করে। এদিকে মিথ্যে মামলায় ১৯ দিন জেল খেটে ১৬ মে জামিনে মুক্ত হয় ওই আসমার ভাই আলী ও তার মেয়ের জামাতার কর্মচারী ওমর ফারুক ও ইমরান।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/জেডটি/মে ২৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর