‘প্রতিকার না পেলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির পিটিশনের সুযোগ আছে’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : কোনো ব্যক্তি কোনো বিষয়ে প্রতিকার না পেলে সংক্ষুব্ধ ওই ব্যক্তির সংসদে পিটিশনের মাধ্যমে সংসদকে অবহিত করার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পিটিশন কমিটির সভাপতি এবং জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

পিটিশন কমিটিকে জাতীয় সংসদের একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ কমিটি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে কোনো জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেশের নাগরিকরা পিটিশনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদকে গোচরীভূত করতে পারেন। সংসদ সদস্যের প্রতিস্বাক্ষরে প্রাপ্ত পিটিশনসমূহ বিবেচনা করে জাতীয় সংসদের স্পিকার সংসদে তা উত্থাপন করবেন।

মঙ্গলবার সংসদ ভবণে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদের পিটিশন কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে সভাপতির বক্ততায় স্পিকার এসব কথা বলেন।

পিটিশন কমিটির সদস্য ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি, মো. আব্দুস শহীদ এমপি, শেখ মো. নূরুল হক এমপি এবং ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে সাধারণ জনগণকে বিষয়টি ব্যাপকভাবে অবহিত করতে সংবাদপত্র, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়া এবং জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অবহিত করার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়। জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বা অন্য কোনো বিষয়ে কোনো ব্যক্তি প্রতিকার না পেলে পিটিশন কমিটির মাধ্যমে প্রতিকার পাওয়ার তার সর্বোচ্চ নাগরিক অধিকার রয়েছে বলে সভায় মতামত ব্যক্ত করা হয়।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইটে প্রচারের পাশাপাশি প্রিন্ট-ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার মাধ্যমে প্রতি মাসে একবার করে পরপর তিন মাস গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার এবং সংসদ টেলিভিশন, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও অন্যান্য বেসরকারি চ্যানেলে এ বিষয়ে পিটিশন কমিটির সদস্যদের অংশগ্রহণে আলোচনা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

তৃণমূল পর্যায়ে নাগরিকদের অবহিতকরণ ও উদ্বুদ্ধকরণের জন্য সংসদ সদস্যদেরকে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে পিটিশন কমিটির পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়। ১০ম জাতীয় সংসদে এ পর্যন্ত যে সকল পিটিশন পাওয়া গেছে কমিটির সভাপতি ও জাতীয় সংসদের স্পিকার সেগুলো বিবেচনাপূর্বক কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী সংসদে উপস্থাপন করবেন।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এপি/মে ২৩, ২০১৭)