thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল 24, ৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ৭ শাওয়াল 1445

ময়মনসিংহে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

২০১৭ মে ২৩ ২০:০৭:৫৮
ময়মনসিংহে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহ শহরের মুসলিম গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ছাত্রলীগ নেতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার প্রায় চার মাস পর ধর্ষিতার বাবা কোতোয়ালী মডেল থানায় এ মামলাটি দায়ের করেছেন। এদিকে মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ পরিবারের।

মামলার প্রধান আসামি ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর কবির।

ধর্ষিতার পিতার অভিযোগ, আসামিরা নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে তাদের। এখন তার বিবাহিত বড় মেয়েকেও ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এনিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবারটি। এদিকে ধর্ষণের পর থেকে ওই কলেজ ছাত্রী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সে এখন বাকরুদ্ধ বলে জানায় তার পরিবার।

তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শহরের ২নং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক আহমেদ জানান, মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ওই মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মুসলিম গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর (১৭) বাড়ি ভালুকা উপজেলার কাচিনা গ্রামে। সে গত ১১ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে ময়মনসিংহ শহরের সানকিপাড়া নতুনপল্লী বোনের বাসা থেকে প্রাইভেট পড়তে বের হয়। এ সময় মুসলিম গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের দক্ষিণ পার্শ্বের সড়কে পৌঁছলে ভালুকা উপজেলার সিডস্টোর বাজার হবিরবাড়ির মাইন উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে আলমগীর কবির (২৪), মোর্শেদের ছেলে তুষার (২৬) ও মোখলেছ (২৫) অজ্ঞাত আরও দুই/তিনজন ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে সাদা রঙের কালো গ্লাস সংযুক্ত মাইক্রোবাসে করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। আলমগীর কবির খুন জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ও জখম করে পুনরায় যেখান থেকে অপহরণ করেছিল সেই স্থানে অচেতন অবস্থায় ফেলে চলে যায়। এরপর জ্ঞান ফিরলে বান্ধবীদের সহায়তায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। মামলার প্রধান আসামি আলমগীর কবির এর আগেও একদিন মিথিলাকে অপহরণ করে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয় বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা মো. রফিকুল ইসলাম মিস্টার বাদি হয়ে আলমগীর কবির, তুষার ও মোখলেছের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩জনের বিরুদ্ধে গত ১৫ মে ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

বাদি রফিকুল ইসলাম মিস্টার জানান, ঘটনার পর থেকে দীর্ঘদিন মেয়ের অসুস্থ্যতা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এরপর লোকলজ্জার ভয়, ধর্ষণকারীদের হুমকি ও সামাজিকভাবে সমাধানে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে চার মাস পর মামলা করতে বাধ্য হয়েছি। আসামিরা রাজনৈতিক ও স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রকিব জানান, আলমগীরের বিরুদ্ধে আগেও নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। অচিরেই ইউনিয়ন কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হবে।

জেলা সাধারণ সম্পাদক সরকার মো. সব্যসাচী জানান, অভিযোগ সত্য হয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে খোঁজ-খবর নিতে বলা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/মে ২৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর