thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ 24, ১৪ চৈত্র ১৪৩০,  ১৮ রমজান 1445

শ্যামল কান্তি কারাগারে

২০১৭ মে ২৪ ২০:২১:৪১
শ্যামল কান্তি কারাগারে

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : ঘুষ গ্রহণের মামলায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৪ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালতে শ্যামল কান্তি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত সেটা নাকচ করে দেন। পরে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়।

এর আগে একই আদালত বুধবার দুপুর ১২টায় এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার মামলায় শুনানি শেষে শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

বিকেল পৌনে ৪টায় আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হন শ্যামল কান্তি। বিকেল সাড়ে ৪টায় তার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সোহেল আলম জানান, শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বিকেলে তিনি একই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

শ্যামল কান্তির আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, শ্যামল কান্তি শারীরিকভাবে অসুস্থ্য। তাছাড়া তিনি একজন শিক্ষক। এসব দিক বিবেচনায় তিনি আদালতে জামিন প্রার্থনা করলেও আদালত সেটা না মঞ্জুর করেছেন। আগামী ১৩ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৩ মে শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠ-বস করানোর ঘটনার দুই মাসের মাথায় ওই বছরের ১৪ জুলাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, শিক্ষার্থীকে মারধর ও শিক্ষক মোর্শেদাকে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তিনটি মামলার আবেদন নারায়ণগঞ্জের আদালতে জমা পড়ে। এর মধ্যে তাৎক্ষণিক দুটি মামলা আদালত খারিজ করে দেয়। তবে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের মামলাটি গ্রহণ করেন আদালত। দীর্ঘ তদন্তের পর পুলিশ ৪ জনকে সাক্ষী দেখিয়ে গত (২০১৭ সালের) ১৭ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার জন্য শ্যামল কান্তি ভক্তকে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ দেন ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগম। এরপর আরও ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন শ্যামল কান্তি। পরে আরও ১ লাখ টাকা দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু সে শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের এমপিওভুক্তের দরখস্ত কোন স্থানেই প্রেরণ করেনি। পরবর্তীতে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ফেরত চাইলে তিনি ২০১৬ সালের ১২ মে কোন টাকা নেয়নি বলে অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে মোর্শেদা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে বন্দর সহকারী কমিশনার (ভূমি) তদন্ত করেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/মে ২৪, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর