thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

শনিবার খুলনায় আধাবেলা হরতাল

২০১৭ মে ২৬ ১৭:২৪:০২
শনিবার খুলনায় আধাবেলা হরতাল

খুলনা প্রতিনিধি : খুলনা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফুলতলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সরদার আলাউদ্দিন মিঠু হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার (২৭ মে) খুলনা জেলায় আধাবেলা হরতালসহ চারদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জেলা ও মহানগর বিএনপি।

শুক্রবার (২৬ মে) দুপুরে মহানগর ও জেলা বিএনপির কেডিঘোষ রোডস্থ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ হরতাল ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

তিনি বলেন, ‘ঘাতকরা ডিবি পুলিশের জ্যাকেট পরে এসেছিল এবং হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় খুলনাবাসী আতঙ্কিত, কেউ আর নিরাপদ নয়। সাধারণ মানুষ কেউ আজ নিরাপদ নয়। তারা স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা চান।’

চারদিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাচ ধারণ এবং পুলিশ প্রসাশনের কাছে স্বারক লিপি প্রদান।

এই সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, সাবেক এমপি কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুজ্জামান মনিসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রাণী সম্পাদ প্রতিমন্ত্রী বাবু নারায়ণ চন্দ্র চন্দ শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে নিহত মিঠুর বাসভবনে যান এবং শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানান।

এ সময় তিনি বলেন, অপরাধী যেই হোক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

এর আগে বিএনপির কেন্ত্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে সমবেদনা জানান।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৬ মে) রাত পৌনে ১০টার ফুলতলার দামুদরে নিজ বাসভবনের সামনে সরদার আলাউদ্দিন মিঠু তার অফিস কক্ষে বসে স্থানীয় বিএনপি নেতা এবং তার শ্বশুরের সাথে কথা বলছিলেন। এই সময় ফুলতলার দিক থেকে ৩টি মটরসাইকেলে ডিবি পুলিশ লেখা জ্যাকেট এবং হেলমেট পরিধানকারী ৫/৬ জন তার অফিসের সামনে আসে। এবং তাৎক্ষণিকভাবে মটরসাইকেলগুলো ফুলতলার দিকে ঘুরিয়ে রাখে। তিন জন মটরসাইকেলে বসেছিল আর বাকিরা সরসরি মিঠুর অফিসে গিয়ে তার মাথায় গুলি করে বেরিয়ে আসে। একই সময় অন্যরাও এলোপাতাড়ি গুলি করতে করতে ফুলতলার দিকে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মিঠুর মৃত্যু হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় নওশের গাজীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাত ১২টায় তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আরও ৩জন গুলিবিদ্ধ হয়। এর মধ্যে সাদ্দাম, সিরাজ ও মিঠুর শ্বশুর স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আহত সাদ্দাম ও সিরাজ জানান, নিহত সরদার আলাউদ্দিন মিঠুর নির্দেশ ছিল পুলিশ বা আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আসলে তাদের (মিঠুর দেহরক্ষী) অস্ত্রগুলো যেন সরিয়ে রাখে। তাই তারা ডিবি পুলিশ লেখা জ্যাকেট দেখে তাদের শর্টগানটি নিরাপদ স্থানে রাখে। কিন্তু কিছু বুঝে উঠার আগেই ঘাতক দল প্রথমে দেহরক্ষী নওশের গাজী এবং পরে মিঠুর মাথায় গুলি করে। মিঠুর মৃত্যু নিশ্চিত জেনে পরে ফাঁকা গুলি করতে করতে চলে যায়।

শুক্রবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে ফুলতলা থানা পুলিশ লাশের সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। মিঠুর মাথা হতে দুটি গুলি পাওয়া যায় এবং দেহরক্ষী নওশের গাজীর বুকে গুলি লাগে। তাদের ময়নাতদন্তের পর লাশ দুটি ফুলতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। বাদ আসর চেয়ারম্যান বাড়ীর সামনে জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে আলাউদ্দিন মিঠুর দাফন করার কথা রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/মে ২৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর