thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল 24, ১০ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৪ শাওয়াল 1445

হাসপাতালে তরুণীর লাশ, স্বজনরা লাপাত্তা

২০১৭ মে ২৬ ২১:১০:৪২
হাসপাতালে তরুণীর লাশ, স্বজনরা লাপাত্তা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে রুমি বেগম (২০) নামক এক তরুণীর লাশ রেখে পালিয়ে যায় লাশের সঙ্গে থাকা দুই যুবক। রুমি হবিগঞ্জ পৌরসভার উমেদনগর গ্রামের রহিম মিয়ার মেয়ে।

তাদের পরিবার দীর্ঘদিন থেকে কুলাউড়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের পরীনগর এলাকায় মো. খলিলুর রহমানের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছে। ঘটনার পর থেকে রুমির বাসাটি তালাবদ্ধ রয়েছে। লাপাত্তা রয়েছেন তার মা-বাবাসহ স্বজনরা। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, রুমিকে হত্যার সঙ্গে পরিবারের লোকজন জড়িত রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী, হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুইজন যুবক তরুণীকে কোলে করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। এসময় কর্তব্যরত চকিৎসক একজন আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগীর চিকিৎসা করছিলেন। চিকিৎসক কিছু বুঝার আগেই ওই যুবকরা মেয়েটিকে হাসপাতালের বেডে রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে চিকিৎসক মেয়েটিকে মৃত হিসেবে নিশ্চিত হয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাকির হোসেন জানান, অন্য রোগীকে চিকিৎসারত অবস্থায় মেয়েটিকে একটি বেডে রেখে কিছু বুঝার আগেই যুবকরা হাসপাতাল পালিয়ে যায়। হাসপাতালে আসার আগেই মেয়েটি মারা গেছে। পরে আমরা পুলিশকে অবহিত করেছি।

কুলাউড়া পৌরসভার স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কায়সার আরিফ জানান, খবর পেয়ে আমি দ্রুত পৌরসভার পরীনগর ওয়ার্ডে রুমির পরিবারের ভাড়াটিয়া বাসায় গিয়ে তাদের ঘরটি তালাবদ্ধ দেখতে পেয়েছি। এরপর থেকে পরিবারের কোন স্বজনদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি রুমিকে হত্যার সাথে পরিবারের লোকজন জড়িত রয়েছে।

কুলাউড়া থানার ওসি মো. শামসুদ্দোহা পিপিএম জানান, আমরা ধারণা করছি এই হত্যাকাণ্ডের সাথে পরিবারের লোকজন জড়িত রয়েছে। এখন পর্যন্ত লাশের কোন স্বজন আমাদের সাথে যোগাযোগ করে নাই। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এনআই/মে ২৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর