রমজানে অবশ্য পালনীয়

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজান। এ মাস এসেছে মানব জাতি জন্য ইহকাল ও পরকালের কামিয়াবি হাসিলের জন্য পাঠশালা হিসেবে। এ মাস শিক্ষা দেয় সবর করতে, ধৈর্যধারণ করতে, বিত্তহীনের কষ্ট বুঝতে, কম খেয়ে, কম ঘুমিয়ে, কম কথা বলে কিভাবে মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভ করা যায় সেই প্রশিক্ষণ নিতে। এ মাস আমাদের অবশ্য পালনীয় কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়তা করে। যে অভ্যাসগুলো বছরের বাকি মাসগুলোতে আমাদের সঠিকভাবে চলতে সহায়তা করে। পবিত্র রমজান মাসেই ‘কম কথা বলার অভ্যাস তৈরি হয়, ইবাদত বন্দেগির জন্য অল্প নিদ্রার অভ্যাস তৈরি হয় আবার রমজানের সিয়াম সাধনায় স্বল্প আহারের অভ্যাসও তৈরি হয়।

রমজানের এ অভ্যাসগুলো মানুষকে সারা বছরের জন্য ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী শারীরিক ও মানসিকভাবে গড়ে তোলে। বিশেষ করে গরিব-দুঃখীর ক্ষুধার যন্ত্রণা অনুভব করার এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে শিক্ষা দেয়।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘এই মাসে চারটি কাজ অবশ্য করণীয়। দুটি কাজ তো এমন যে, তার দ্বারা তোমাদের প্রতিপালক সন্তুষ্ট হন। আর অবশিষ্ট দুটি এমন, যা ছাড়া তোমাদের কোনো গত্যন্তর নেই।

কাজ চারটি হলো-

* বেশি বেশি কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করা

* অধিক পরিমাণে ইসতেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা। কালেমা শাহাদাতের জিকির এবং অধিক পরিমাণে তাওবা ইসতেগফার আল্লাহ তাআলার দরবারে অতি পছন্দনীয় কাজ।

* জান্নাত লাভের আশা করা এবং

* জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রার্থনা করা।

এ দুটি বিষয় এমন, যা তোমাদের (মুসলিম উম্মাহর) জন্য একান্ত জরুরি।’ (ইবনে খুজাইমা)

হাদিসে এসেছে যে ব্যক্তি প্রতিদিন তিনবার জান্নাত লাভ এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির প্রার্থনা করবে জান্নাত ও জাহান্নাম ওই ব্যক্তির জান্নাত প্রাপ্তিতে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করতে থাকবে। তাই মুসলিম উম্মাহর উচিত এ মাসে এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়া-

‘আল্লাহুম্মা আদখিলনাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনান নার।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাদিগকে বেহেশত দান করুন এবং আমাদিগকে দোজখ হতে মুক্তি দান করুন।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ চারটি বিষয়ের প্রতি যথাযথ যত্নবান হওয়ার তাওফিক দান করুন।

(দ্য রিপোর্ট/একেএ/এনআই/জুন ০৮, ২০১৭)