thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসে নামবেন মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা

২০১৭ জুন ১৪ ১৬:৫৭:৫৬
মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসে নামবেন মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে আগামী ১৭ জুন ঢাকায় এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসে নামবেন মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা। ঢাকা মহানগরকে ৯২টি এলাকায় বিভক্ত করে ওইদিন সকাল ৯টায় থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে নির্ধারিত এলাকায় ছড়িয়ে পড়বেন।

সচিবালয়ে বুধবার (১৪ জুন) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি ও আবহাওয়ার উষ্ণতা বেশি হওয়ার কারণে চিকুনগুনিয়ার বাহক এডিস মশার বংশ বৃদ্ধি হচ্ছে।’

মহাপরিচালক বলেন, ‘সম্প্রতি ঢাকা শহরে একটি জরিপ চালানো হয়েছে। ৪৭টি ওয়ার্ডে এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র দেখেছি। স্বাভাবিক মাত্রার ইনডেক্স ২০। কিন্তু ঢাকা শহরের ৪৭ ওয়ার্ডের গড় ইনডেক্স ৫২। যা দ্বিগুণের বেশি। অর্থাৎ ঢাকা শহরের এডিস মশার প্রকোপ অনেক বেশি এবং এই কারণে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত বেশি।’

আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ঢাকার বাইরে অন্যান্য নগরীতে দু’একটা কেস পাওয়া গেছে। ঢাকার বাইরে গিয়ে জ্বর হয়েছে। কিন্তু কামড় খেয়েছে ঢাকায়। এই মুহূর্তে ঢাকা নগরী আতঙ্কের কারণ।’

সিটি করপোরেশনের কর্মী বাহিনী মশক নিধন কর্মসূচি পালন করছে জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, ‘এই মশাগুলো ঘরের ভিতরে থাকে। তারা বাইরে ফগিং করছে তাতে মশা খুব মরছে বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে না। একই সাথে তাদের কর্মী বাহিনীর সংকট আছে। এই ধরনের দুর্যোগ যে ধরনের কর্মী বাহিনী দরকার তাদের সেটা নাই।’

‘চিকুনগুনিয়া রোগীর বড় ধরনের লক্ষণ হলো তাদের অনেক জ্বর হয় এবং বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা হয়। কেউ কেউ ৪-৫ দিনের মধ্যে সেরে গেলেও কিছু ক্ষেত্রে ৪-৬ মাসও হতে পারে। অনেকে চলাফেরাও করতে পারে না। এজন্য এটাকে অবজ্ঞা করতে পারি না’ বলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের শীর্ষ কর্মকর্তা।

‘এজন্য আমরা কর্মসূচি নিয়েছি। আগামী ১৭ জুন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকা শহরের যতো সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি, মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল, নিপসনের যতো মেডিকেল চিকিৎসা শিক্ষার্থী আছে তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে জড়ো হবে। শিক্ষক ও অতিথিরা তাদের নির্দেশনা দিবেন। তারা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে ঢাকা শহরের নির্ধারিত এলাকায় ছড়িয়ে পড়বেন।’

আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ঢাকা মহানগরকে আমরা ৯২টি এলাকায় বিভক্ত করেছি। এই সমস্ত জায়গায় নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার প্রজননস্থল ধংস করবে। পুরনো টায়ার, ডাবের খোসায় জমে থাকা পানি ও আবর্জনায় এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্রে ধংস করবে। এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেব যে, তরুণী শিক্ষার্থীরা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করবে। তারা মানুষকে সচেতন করবে।’

মহাপরিচালক বলেন, ‘সাদা অ্যাপ্রোন পরা চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের সাথে এসব কাজে সিটি করপোরেশনের কর্মীবাহিনী স্প্রে ও ফগিং করবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের দুজন সচিব ঢাকায় ও প্রতিমন্ত্রী মানিকগঞ্জে কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন।’

এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল হক খান উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এপি/জুন ১৪, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর