thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ 24, ১৫ চৈত্র ১৪৩০,  ১৯ রমজান 1445

গোপালগঞ্জে ঈদ বাজার জমে উঠেছে

২০১৭ জুন ১৭ ১৫:৫২:০৮
গোপালগঞ্জে ঈদ বাজার জমে উঠেছে

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : ঈদ সারা বিশ্বের মুসলমানদের খুশির উৎসব। ঈদে মানেই কেনাকাটা। প্রতিবছরের মতো এবারো গোপালগঞ্জে ঈদ বাজারের আসর বসেছে। তবে এবার যেন একটু আগে ভাগেই ঈদের বাজারে ক্রেতা আসতে শুরু করেছে। বাজারে নানা ডিজাইনের পোষাক থাকলেও মূলত ভারতীয় ও চাইনিজ পোষাকই বাজার দখল করে রেখেছে। তবে দেশীয় সুতি কাপড়ের কদর কমেনি এখানকার ঈদ বাজারে।

ঈদের দিন যতই এগিয়ে আসছে ছোট্ট জেলা শহর গোপালগঞ্জের ঈদ বাজার ততই জমে উঠছে। বিশেষ করে থান কাপড় ও গার্মেন্টসের দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় লেগে থাকছে।

দোকানীরা জানিয়েছে, বেচাকেনা খারাপ না। আগামিতে আবহাওয়ার অবস্থা ভাল থাকলে তারা ভালো ব্যবসা করতে পারবে। তবে অতি সম্প্রতি শহরের বিভিন্ন সড়কে চলছে পৌরসভার উন্নয়ন কাজ। এ উন্নয়ন কাজ ঈদ বাজার করতে আসা লোকজনের ভোগান্তি বাড়িয়েছে। বিশেষ করে পাইপ বসিয়ে ড্রেন নির্মাণের কারণে শহরে বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এ থেকে বাদ যায়নি শহরের মূল কেন্দ্র বিন্দু চৌরঙ্গীও।

তারা আরো জানিয়েছে, ঈদের পরে ব্যবসায়ীক এলাকায় খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করলে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সুবিধা হতো।

পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সবাই ছুটছেন ঈদ বাজারের দিকে। গরমের কথা বিবেচনা করে অনেকেই দেশি সুতি থ্রি-পীচ ও শাড়ি কিনছেন। দামের দিক থেকে কিছুটা সাশ্রয় আর আরামদায়ক হওয়ায় এসব ক্রেতার প্রথম পছন্দই হলো দেশি সুতি ড্রেস।

এদিকে, ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। আর তাই গোপালগঞ্জের দর্জিপাড়া এখন সরগরম। দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন দর্জি শ্রমিকরা। কাস্টমারের কাছ থেকে নেওয়া অর্ডার সময়মত ডেলিভারি দিতে মরিয়া হয়ে কাজ করছেন তারা। কোন কোন টেইলার্স ২-১ দিনের মধ্যে অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দেবেন এমনটি জানিয়েছেন।

১০ রোজার পর থেকে মূলত গোপালগঞ্জের ঈদের বাজার জমতে শুরু করে। ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ে এখন রাস্তা দিয়ে হাটাই দায়। চাহিদা মাফিক জামা-কাপড় ও জুতা-স্যান্ডেল কিনতে ক্রেতারা এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ভিড় করছেন।

বিশেষ করে যারা সিট কাপড়ের দোকান থেকে কাপড় কিনে দর্জির কাছে তৈরি করতে দেবেন তাদের আনাগোনাই এখন বেশি। পছন্দের কাপড় আগে ভাগে কিনে না দিতে পারলে সময়মত তা ডেলিভারি পাওয়া যাবে না। এই আশঙ্কায় অনেকেই ছুটোছুটি করছেন। আর এদিকে দিন যতই যাচ্ছে দর্জি শ্রমিকদের কাজের চাপও ততই বেড়ে যাচ্ছে।

দর্জি শ্রমিকরা জানিয়েছে, গত বছরের থেকে তাদের কাজের চাপ বেশি। তারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। যে কোনোভাবে সময়মত লোকজনকে পোষাক তৈরি করে তা ডেলিভারি দিতে হবে।

গত বছরের তুলনায় এ বছর কাপড়ের দাম বেশি এমন অভিযোগও ক্রেতাদের। তারপরও সবারই লক্ষ্য পরিবার পরিজনের জন্য নতুন কাপড় কেনা। আর গরীব ক্রেতারা সাশ্রয়ী দামে কাপড় কিনতে তাই এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটছেন। ধনী বা দরিদ্র যেই হোক না কেন সবাই এখন ঈদ বাজার মুখি। ঈদে স্বজনদের জন্য নতুন জামা-কাপড় কিনতে ঈদ বাজারে ভিড় করছেন সবাই। আর তাই বাজারগুলোও জমে উঠেছে ভালো।

(দ্য রিপোর্ট/কেএনইউ/জুন ১৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর