thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

‘নবাব’ ও ‘বস টু’ মুক্তি না পেলে সিনেমা হল বন্ধ!

২০১৭ জুন ১৯ ১২:০৯:২৮
‘নবাব’ ও ‘বস টু’ মুক্তি না পেলে সিনেমা হল বন্ধ!

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘বস টু’ ও ‘নবাব’ এবারের ঈদে মুক্তি না পেলে সিনেমা হল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ।

রবিবার (১৮ জুন) রাতে রাজধানীর মগবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘হল বাঁচাতে হলে এ দুটো সিনেমা মুক্তি দিতে হবে।’

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমাডিয়ার নেতৃত্বে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রযোজক, বুকিং এজেন্ট, হল মালিক এবং চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ বলেন, ‘নবাব’ এবং ‘বস টু’ এবারের ঈদেই মুক্তি পাবে। এ দুটো ছবি যদি মুক্তি দিতে না পারি তবে আমার ১২টি সিনেমা হলে কোন ছবি চালাবো না। সিনেমা বানানোও বন্ধ করে দেবো।’

সিনেমা হল বন্ধ করে দিলে ঈদে মুক্তিপ্রতিক্ষীত দেশীয় দুটো ছবি ‘রংবাজ’ ও ‘রাজনীতি’র ভবিষ্যত কী হবে? বিতর্কিত যৌথ প্রযোজনার দুটি ছবির জন্য মুক্তিপ্রতিক্ষীত দুটি ছবি কি দর্শক দেখবে না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান বক্তারা। এর সূত্র ধরে বিশৃঙ্খল পরিবেশেরও সৃষ্টি হয়।

এর আগে চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের নেতাদের উদ্দেশ্যে চিত্রনায়ক শাকিব খান বলেন, ‘আপনারা আন্দোলন করছেন ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য। যারা বলছেন, আমি কাফনের কাপড় মাথায় দিয়ে এক সময় যৌথ প্রযোজনার ছবির বিরুদ্ধ আন্দোলন করে আমিই এখন যৌথ প্রযোজনার ছবি করছি তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আমি ভারতীয় হিন্দি-উর্দু ছবির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি যৌথ প্রযোজনার বাংলা ছবির বিরুদ্ধ নয়।’

জনপ্রিয় এই অভিনেতা বলেন, ‘আপনারা সিনেমা দুটি দেখে প্রতিবাদ করুন। নবাব সিনেমায় তো বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনকে আন্তর্জাতিকভাবে পজেটিভলি হাইলাইট করা হয়েছে। যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা মেনে নিয়েই দুটি সিনেমা নির্মিত হয়েছে। তাহলে এই দুটি সিনেমার পেছনে কেন লেগেছেন? নিজেরা তো ভালো ছবি নির্মাণ করছেন না। তাহলে হলগুলো বাঁচবে কিভাবে? সিনেমা হল না থাকলে সিনেমা হবে কীভাবে? সিনেমার স্বার্থেই যৌথ প্রযোজনার ছবি চলবে। তবে বাংলাদেশকে ছোট করে আমরা কিছু করিনি, করবো না।’

চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, ‘যৌথ প্রযোজনার সবচাইতে বেশী চলচ্চিত্রে এখন পর্যন্ত সম্ভবত আমিই অভিনয় করেছি। ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রেও আমিই সবচেয়ে বেশি অভিনয় করেছি। প্রায় ৫০-৬০টি ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। আমি সব সময় যৌথ প্রযোজনার পক্ষে। তবে দেশীয় স্বার্থ অবশ্যই সবার আগে। নিজ দেশকে ছোট করে কোন ছবিতে অভিনয় করিনি, করবো না।’

অভিনেতা অমিত হাসান বলেন, ‘সরকারি নিয়ম মেনেই ছবিগুলো নির্মিত হয়েছে। তারপরও কেন এটার বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না।’

এ সময় বক্তব্য রাখেন শিবা শানু, আরিফিন শুভ, কাজী হায়াত, ইফতেখার নওশাদ, আব্দুল আজিজ, মিষ্টি জান্নাতসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অভিনেতা-পরিচালক নাদের চৌধুরী।

উল্লেখ্য, এদিন দুপুরে যৌথ প্রযোজনার নামে যৌথ প্রতারণা বন্ধের স্লোগান নিয়ে রাজপথে নামে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ১৪টি সংগঠনের সম্মিলিত প্লাটফর্ম ‘চলচ্চিত্র ঐক্যজোট’। রাজপথের আন্দোলনে দেখা যায় অভিনেতা ফারুক, ডিপজল, মিশা সওদাগর, বাপ্পি, সাইমনসহ অনেককে।

(দ্য রিপোর্ট/পিএস/এনটি/এনআই/জুন ১৯, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর