thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ 24, ৫ চৈত্র ১৪৩০,  ৯ রমজান 1445

প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের জবাব দিলো ইউনূস সেন্টার

২০১৭ জুন ২০ ১০:৩৫:৫০
প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের জবাব দিলো ইউনূস সেন্টার

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন সময়ে তোলা অভিযোগের জবাব দিয়েছে ইউনূস সেন্টার।

বিশেষ করে পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ বন্ধ, গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ হারানোর পর হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে প্ররোচিত করা, গ্রামীণ ব্যাংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, আয়কর না দেওয়ার বিষয়ে জবাব দেওয়া হয়েছে।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইউনূস সেন্টারের পক্ষ থেকে এ জবাব দেওয়া হয়।

ইউনূস সেন্টার থেকে বলা হয়, প্রফেসর ইউনূসের কাছে কর বিভাগের কোনো কর দাবি নেই বা তার কোনো বকেয়া করও নেই। প্রফেসর ইউনূস বরাবরই পুরোপুরি ও সময়মতো কর পরিশোধ করছেন। তার আয় ও কর সংক্রান্ত সকল তথ্য কর কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে। ফলে ইউনূসের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ পুরোপুরি অসত্য।

‘ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদে থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের গরীবের টাকা সরিয়ে নিজের নামে কোম্পানি করেন। সেই টাকা তো তারাই সরিয়েছে।’ - প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে ইউনূস সেন্টার থেকে বলা হয়, এটি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর একটি অভিযোগ। এটা বিশ্বাস করা কষ্টকর যে, প্রফেসর ইউনূস এতদিন ধরে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন অথচ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাৎসরিক পরিদর্শন, নিরীক্ষা ও বিভিন্ন ধরনের পরিবীক্ষণে কিছুই ধরা পড়েনি।

পৃথিবীতে কোথাও ইউনূসের নিজস্ব মালিকানাধীন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। তিনি বহুবার পরিষ্কারভাবে বলেছেন, পৃথিবীর কোথাও কোনো কোম্পানিতে তার কোনো শেয়ার নেই বলেও জানানো হয়।

‘গ্রামীণ ফোনের ব্যবসা আমি দিয়েছিলাম। কথা ছিল ফোনের লাভের টাকা গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে গরীবের কাছে যাবে। সেটাও যায়নি। তাও নিজেই আত্মসাৎ করেন।’ - শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যে বলা হয়, এটাও প্রমাণ ছাড়া কথা বলা। টেলিকম লাইসেন্সটি কখনোই ইউনূস বা কোনো ব্যক্তিকে দেয়া হয়নি।
আরও বলা হয়, সেই সময়ে গ্রামীণফোনকে লাইসেন্স দেয়াটা সরকারের একটা ভালো সিদ্ধান্ত ছিল। গ্রামীণফোন বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় টেলিফোন কোম্পানি এবং এটা দেশের একমাত্র কোম্পানি যার প্রায় অর্ধেক শেয়ারই বাংলাদেশিদের হাতে।

হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে ফোন করানো বিষয়ে বলা হয়, ড. ইউনূস কখনই হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিকট টেলিফোন করাননি। হিলারি ক্লিনটন প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে থাকলে তা তিনি নিজে থেকেই করেছেন। গ্রামীণ ব্যাংকের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অনেক বিশ্ব নেতাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে টেলিফোন করেছেন, চিঠি লিখেছেন, ব্যক্তিগত দূত পাঠিয়েছেন এবং সরাসরি কথাও বলেছেন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এনআই/জুন ২০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর