thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ 24, ৫ চৈত্র ১৪৩০,  ৯ রমজান 1445

দুর্নীতি মামলায় খালেদার পরবর্তী শুনানি ২৯ জুন

২০১৭ জুন ২২ ১৩:১০:৪০
দুর্নীতি মামলায় খালেদার পরবর্তী শুনানি ২৯ জুন

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পরবর্তী শুনানি ২৯ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসার মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন।

খালেদা জিয়া এদিন বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে আদালতে উপস্থিত হন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি আদালত চত্বর ত্যাগ করেন। এদিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আত্মপক্ষ সমর্থন এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে অসমাপ্ত বক্তব্য দেওয়ার দিন ধার্য ছিল।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন আর রশীদের জেরা বৃহস্পতিবারও শেষ না হওয়ায় ফের তাকে জেরা করার দিন ধার্য করেন আদালত।

অপরদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষের সমর্থনের জন্যও একই দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে সকালে রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে বেলা ১১টা ৩৭ মিনিটে খালেদা জিয়া প্রবেশ করেন। আর সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে তিনি গুলশানের বাসভবন থেকে বিশেষ আদালতের উদ্দেশে রওনা হন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ১৫ জুন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন আর রশীদকে জেরা করেন খালেদার আইনজীবী রেজ্জাক খান।

জেরার একপর্যায়ে তিনি তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেন, আপনি আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে মামলার তদন্ত করেছেন। এ সময় আদালত এ মামলার পরবর্তী জেরার জন্য ২২ জুন দিন ধার্য করেন।

অপরদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষের সমর্থনের জন্য একই দিন ধার্য করেন আদালত।

ওই দিন খালেদার আইনজীবীরা আদালতে আরেকটি আবেদন দাখিল করেন। আবেদনে উল্লেখ করেন মামলায় বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নথির সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, যা অপ্রাসঙ্গিক। এগুলো মামলার নথি থেকে বাদ দিতে হবে এবং পরবর্তী তারিখে আমরা এ বিষয় শুনানি করব।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন আর রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এনআই/এম/জুন ২২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর