thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ 24, ১৪ চৈত্র ১৪৩০,  ১৮ রমজান 1445

কাতারের সঙ্গে কি সৌদি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে?

২০১৭ জুন ২৭ ১২:৫১:৩৬
কাতারের সঙ্গে কি সৌদি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে?

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : সৌদি আরবের নেতৃত্বে কাতারকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে তাদের দাবি মানার জন্য চাপ দিচ্ছে চারটি উপসাগরীয় দেশ। কিন্তু এই সংকট সৃষ্টি করে তারা কি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে?

বিশ্লেষকদের অনেকের ভয়, এসব পদক্ষেপ হয়তো পুরো অঞ্চলকেই এক বিপজ্জনক পথে ঠেলে দিতে পারে।

যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসিএ খবর প্রকাশ করেছে।

খবরে বলা হয়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, কাতারের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে তাদেরকে যে ১৩টি শর্ত মেনে নিতে বলেছে উপসাগরীয় দেশগুলো, তা 'পূরণ করা কঠিন'।

আলজাজিরা টিভি ও তুর্কি সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করা, ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা কমানো এবং সন্ত্রাসবাদকে কথিত সমর্থন দেয়া থামানোসহ ১৩টি দাবি মানতে কাতারের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে সৌদি আরব, বাহরাইন, মিশর, ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

এটা বেশ স্পষ্ট যে, এর পেছনে প্রধান ভূমিকা রাখছে সৌদি আরব। তবে কোনো কোনো বিশ্লেষক এ প্রশ্ন করছেন, সৌদি আরব এক্ষেত্রে একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে কিনা।

বিবিসি’র বিশ্লেষক ফ্রাংক গার্ডনার বলছেন, কাতারের পেছনে যে চারটি দেশ লেগেছে, এদের শাসকরা সবাই সুন্নি মুসলিম। তাদের চোখে ইরান এবং রাজনৈতিক ইসলাম ও সহিংস জিহাদ হচ্ছে তাদের জন্য দুটি বড় হুমকি। দেশগুলোর অভিযোগ, এই দুটি বিপদকেই উস্কে দিচ্ছে কাতার।

কাতারের বিরুদ্ধে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৩১ বছর বয়স্ক সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান যাকে সংক্ষেপে ডাকা হয় এমবিএস বলে। অনেকেই এখন প্রশ্ন তুলছেন, এমবিএস কি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন?

এটা ভাবার কারণ হলো- সৌদি আরবের নিজেরই সমস্যার শেষ নেই। তারা আমিরাতের সঙ্গে মিলে ইয়েমেনে দুবছর ধরে এক ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে জড়িত যার কোনো নিষ্পত্তির চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। তাছাড়া সৌদি আরবের শিয়া-প্রধান পূর্বাঞ্চলে বহুদিন ধরে বিদ্রোহী তৎপরতা চলছে।

সৌদি আরব ইসলামিক স্টেট বিরোধী মার্কিন কোয়ালিশনেরও সদস্য এবং আইএস দেশটির একাধিক মসজিদে বোমা হামলা চালিয়েছে।

এছাড়া, দীর্ঘমেয়াদে কাতারকে বিচ্ছিন্ন করার প্রতিক্রিয়া হবে অর্থনীতি ও ব্যবসাবাণিজ্যের ওপর। ফলে যতই এ সমস্যা চলতে থাকবে, ততই এর অভিঘাত দেশ ছাড়িয়ে গোটা অঞ্চলের ওপর পড়বে।

কিন্তু সৌদি আরবের শাসকরা সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কড়া ইরানবিরোধী কথাবার্তায় উৎসাহিত হয়েছেন। তারা চান, তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের বিরুদ্ধে উপসাগরের দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ হোক।

উপসাগরের রাজতন্ত্রগুলো রাজনৈতিক ইসলামকে তাদের জন্য বিপদ মনে করে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুন ২৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর