thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ 24, ১৪ চৈত্র ১৪৩০,  ১৮ রমজান 1445

মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব অনুমোদন

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পরিচালনায় কোম্পানি হচ্ছে

২০১৭ জুলাই ০৩ ১৫:৪৪:৫৩
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পরিচালনায় কোম্পানি হচ্ছে

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট পরিচালনার জন্য ‘বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড’ গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সচিবালয়ে সোমবার (৩ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ অনুমোদনের কথা জানান।

বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট আগামী ডিসেম্বরে উৎক্ষেপণ করা হবে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘স্যাটেলাইট ক্লাবে বাংলাদেশ শিগগিরই অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করার প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন, খুব শিগগিরই হবে বলে আশা করছি। ওটাকে পরিচালনা করার জন্য একটা কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যারা মূল ব্যবস্থাপক তারা বলেছেন লোকালি এটাকে ম্যানেজ করতে গেলে একটা কোম্পানি লাগবে। এই কোম্পানি এটার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবে।’

পাঁচ হাজার কোটি টাকার অনুমোদিত মূলধন নিয়ে কোম্পানিটি গঠন করা হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘৫০০ কোটি শেয়ার হবে, প্রতিটি শেয়ারের মূল্য হবে ১০ টাকা। ১১ সদস্যের একটি কমিটির প্রস্তাব করা হয়েছে যাদের সবাই সরকারি কর্মচারী।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অতিরিক্ত সচিব এবং অর্থ বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বশস্ত্র বাহিনী বিভাগের একজন করে প্রতিনিধি এই কমিটিতে থাকবেন বলেও জানান শফিউল আলম।

তিনি আরও জানান, টেলিকমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্টের মহাপরিচালক, স্পারসোর চেয়ারম্যান, সরকার মনোনীত দুইজন পরিচালক এবং বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এই কমিটিতে থাকবেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘পদাধিকারবলে সচিব চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকবেন। আর কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হবেন কমিটির সদস্য সচিব। অন্যরা বোর্ড অব ডাইরেক্টর হিসেবে কমিটিতে থাকবেন।’

বীজ আইনে শাস্তি বাড়ছে

বৈঠকে ‘বীজ আইন, ২০১৭’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর আগে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর খসড়াটি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সিডস অর্ডিন্যান্স-১৯৭৭ নামে একটি আইন আমাদের আছে। এটি যেহেতু সামরিক শাসনামলের আইন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনটাকে বাংলায় রূপান্তর করে সংশোধন করে নতুন করে উপস্থাপন করা হয়েছে।’

নতুন আইনে থাকা বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, জাতীয় বীজ বোর্ড আগের আইনেও ছিল বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

শফিউল আলম বলেন, ‘যদি কোন ব্যক্তি বীজ পরিদর্শকের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে বাধা দেন বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন তবে তিনি অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন। সেই অপরাধীর দণ্ড হচ্ছে ৯০ দিনের (৩ মাস) বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ড।’

ভেজাল বা নিম্নমানের বীজ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও বীজ পরিদর্শক দেখবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের নির্ধারিত ও নিয়ন্ত্রীত ফসলের বীজের বিক্রয়ের কোন শর্ত লঙ্ঘণ করলেও শাস্তি ৯০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ড।’

কোন অপরাধ দ্বিতীয় বার করলে শাস্তি দ্বিগুণ হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেন, ‘আগে প্রথমবার অপরাধের জন্য শুধু ৫০০ টাকা জরিমানা ছিল। একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে ৩০ দিনের জেল ও এক হাজার টাকা জরিমানা ছিল।’

এই আইনের অপরাধ সরাসরি আদালত গ্রহণ করবে না জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বীজ পরিদর্শকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রহণ করা হবে। এ আইনটাকে মোবাইল কোর্ট আইনের তফশিলেভুক্ত করার সুযোগ রাখা হয়েছে। মোবাইল কোর্টের আওতায় এর বিচার করা যাবে।’

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এআরই/জুন ০৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর