thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সড়ক উন্নয়নে ৮৬৫ কোটি টাকার প্রকল্প

২০১৭ জুলাই ০৬ ২১:২৪:১৫
বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সড়ক উন্নয়নে ৮৬৫ কোটি টাকার প্রকল্প

বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সড়ক উন্নয়নে ৮৬৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার। সড়কটি হচ্ছে- পাচঁদোনা-ডাঙ্গা-ঘোড়াশাল সড়ক(পাচঁদোনা-ডাঙ্গা-ইসলামপুর খেয়াঘাট অংশসহ)। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। অনুমোদন পেলে ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদতর।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পাচঁদোনা-ডাঙ্গা-পলাশ সড়কটি নরসিংদী সড়ক বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা সড়ক, যার দৈর্ঘ্য ২১ কিলোমিটার। প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় পাঁচদোনা থেকে ইসলামপুর খেয়াঘাট পর্যন্ত ১১ দশমিক ৬০ কিলোমিটার সড়কাংশের উন্নয়নের প্রস্তাব করা হয়েছিল। এই সড়কাংশটি জাইকার সহায়তায় প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়কের সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০০৯ সালের ১ এপ্রিল কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ এর ১১ ধারার ক্ষমতাবলে পলাশ জায়গাটিকে ওয়াব হাউজিং স্টেশন হিসেবে ঘোষণা করায় সড়কটির গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রস্তাবিত সড়কের উভয় পাশে গড়ে ওঠা শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে প্রস্তাবিত সড়কটি। সড়কটির উন্নয়ন করা হলে সকল এলাকায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে ৪৫২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। প্রস্তাবিত প্রকল্পটির উপর ২০১৫ সালের ১৯ অক্টোবর পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিইসি সভায় প্রস্তাবিত সড়কটি চার লেনের পরিবর্তে দুই লেনে নির্মাণের সংস্থান রেখে ভূমি অধিগ্রহণের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মোতাবেক সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে ২৬৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়।

২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল পুনরায় পুনর্গঠিত ডিপিপির পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্তের কারণে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে ২৬৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ের পুনর্গঠিত ডিপিপি অনুমোদনের জন্য ২০১৬ সালের ৬ জুন অনুষ্ঠিত একনেক সভায় উপস্থাপিত হলে প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ৩০ জুনে বাস্তবায়নের জন্য দুটি শর্ত হচ্ছে-বর্তমান ও ভবিষ্যতের চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এই প্রকল্পের প্রস্তাবিত ১১ দশমিক ৬০ কিলোমিটার এর পরিবর্তে পাঁচদোনা-ডাঙ্গা- ঘোড়াশাল সড়কের সম্পূর্ণ ২১ কিলোমিটার এবং ২ লেনের পরিবর্তে ৪ লেনের সড়ক নির্মাণ করতে হবে। এই প্রকল্পের উল্লিখিত কার্যক্রমগুলো অন্তর্ভুক্ত করে পুনর্গঠিত ডিপিপি ও মোট ব্যয় প্রাক্কল পরিকল্পনামন্ত্রীর অনুমোদন করতে হবে।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমগুলো হচ্ছে-৭৩ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ, ১১ দশমিক ৯৬ লক্ষ ঘন মিটার সড়কবাধে মাটির কাজ, ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার পেভমেন্ট পুনঃনির্মাণ, ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার হার্ড শোল্ডার নির্মাণ, ৫২ মিটার আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ, ৩টি ইন্টারসেকশন নির্মাণ, কংক্রিট গাইড পোস্ট এবং ইউটিলিটি অপসারণসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করা।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সাথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সংযোগ স্থাপনসহ ঢাকা-গাজীপুরের দুরত্ব হ্রাস পাবে, তাই প্রকল্পটি অনুমোদনযোগ্য।’

(দ্য রিপোর্ট/জেজে/জেডটি/এনআই/জুলাই ০৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর