thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

আরণ্যকের ‘দি জুবলী হোটেল’ রবিবার

২০১৭ জুলাই ০৮ ১০:৪৬:৩৩
আরণ্যকের ‘দি জুবলী হোটেল’ রবিবার

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর সেগুনবাগিচার জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে আগামীকাল রবিবার (০৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের নতুন নাটক ‘দি জুবলী হোটেল’।

মান্নান হীরার রচনা ও নির্দেশনায় ২০১৬ সালের ২৯ নভেম্বর নাটকটি মঞ্চে আনে আরণ্যক। দলটির ৫৭তম নাট্যপ্রযোজনা এটি। মফস্বল শহরের একটি বিখ্যাত চায়ের দোকানকে কেন্দ্র করে ‘দি জুবলী হোটেল’ নাটকটির কাহিনী আবর্তিত হয়েছে।

নাটকটিতে অভিনয় করছেন- মান্নান হীরা, তমালিকা কর্মকার, আরিফ হোসেন আপেল, সাজ্জাদ সাজু, রুবলী চৌধুরী, মনির জামান, অপু মেহেদী, ইশতিয়াক হোসেন, রিয়া, রানু, রিমা, আমানুল হক হেলাল, পার্থ চ্যাটার্জী, কৌশিক সাহা, মাহাফুজ মুন্না, নিকিতা নন্দিনী, সাঈদ সুমন, মরু ভাস্কর, তাজউদ্দিন তাজু, রেজওয়ান পারভেজ, কামরুল হাসান, ফিরোজ মামুন, জুবায়ের জাহিদ, শাহরান, শেখ জিয়াদুল হক, এস রানা, আল আমিন, সুজাত শিমুল, সাক্ষ্য শাহীদ, আমিনুল হক।

নাটকের গল্পে দেখা যায়, জুবলী হোটেলে শহরের সর্বস্তরের মানুষের নিয়মিত আড্ডা চলে। হারু মন্ডল নামের এক প্রবীণ নাট্য নির্দেশক তার দলবল নিয়ে এখানে নিয়মিত আড্ডা দেয় আর ‘সুলতান রাজিয়া’ নামক একটি নাটক করার জন্য নিয়মিত মিটিং করে। ২০ বছর ধরে এই প্রক্রিয়া চললেও অদ্যাবধি সুলতান রাজিয়া মঞ্চে আসেনি। কারণ সুলতান রাজিয়া চরিত্রে অভিনয় করার জন্য কোনো অভিনেত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।

শহরে আসে যাদুর দল ‘দি ঘোষ ম্যাজিক পার্টি’। সেই ম্যাজিক পার্টির নৃত্যশিল্পী হেমামালিনীকে দেখে হারু মন্ডলের মনে হয় সেই হতে পারে সুলতান রাজিয়া। হারু মণ্ডল তাকে প্রস্তাব দেয় অভিনয় করার জন্য। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় ম্যাজিক পার্টির সঙ্গে পাকা স্ট্যাম্পে চুক্তি।

জুবলী হোটেলের কর্মী মমতা। যে কিনা নানা প্রতিকূলতার মাঝেও সারাক্ষণ একটি সুন্দর সংসারের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নির্মম ষড়যন্ত্রে তা ভেঙে হয় খানখান। জুবলী হোটেলের আরেকজন নিয়মিত আগন্তুক হলেন বাউল। জুবলী হোটেলে বাউল এলে যেন প্রাণের স্পন্দনে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে হোটেলটি। বাউলের কণ্ঠে মানব ধর্মের গান শুনে সকলের মনে বোধোদয় হলেও ধর্মীয় উগ্রবাদের সঙ্গে যুক্ত কিছু মানুষের তা ভালো লাগে না। তাইতো তাদের রোষানলে পরে বাউল।

এ রকম নানা দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে নাটকটির কাহিনী এগুতে এগুতে হঠাৎ এক মারাত্মক সংকট এসে আবির্ভূত হয়। শহরের মেথরকন্যা মনলোভা, যে কিনা নিয়মিত জুবলী হোটেলের সামনের রাস্তা ঝাড় দিত, সে ধর্ষিত হয়। এ নিয়ে হৈচৈ পড়ে গেলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় শহরে।

ম্যাজিক পার্টি শহর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়। বাউলকে গুম করে ফেলা হয়। আত্মহত্যা করে মনলোভা। যে জুবলী হোটেলে শিল্প-সংস্কৃতি-বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট মানুষসহ সমাজের প্রগতিশীলদের নিয়মিত আনাগোনা ছিল, প্রগতির বিপক্ষ এক অপশক্তি বন্ধ করে দেয় তাদের আনাগোনা, জ্বলতে থাকে জুবলী হোটেল।

নাটকটির নেপথ্যশিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন- সহকারী নির্দেশক কামরুল হাসান, মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনা ফয়েজ জহির, সঙ্গীত পরিকল্পনা সুজেয় শ্যাম, পোশাক পরিকল্পনা সুরাইয়া শান্তা, কোরিওগ্রাফি র‌্যাচেল প্রিয়াংকা পেরিস, পোস্টার ও প্রকাশনা মোস্তাফিজ কারিগর, অপু মেহেদী।

(দ্য রিপোর্ট/পিএস/এনআই/জুলাই ০৮, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর