thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

এসিসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তের নির্দেশ

২০১৭ জুলাই ১৯ ১৬:২০:১৯
এসিসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তের নির্দেশ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ডেমরা জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার (এসি) ইফতেখারুল ইসলাম ও ১২ পুলিশ সদস্যসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ করা মামলার তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (১৯ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম রাজধানীর ওয়ারী জোনের ডিসিকে এ আদেশ দেন।

মামলার আসামিরা হলেন, যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (প্রশাসন) আনিসুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) তোফায়েল আহমেদ, এসআই জাকির হোসেন, ওমর ফারুক, কবির হোসেন উকিল, শাহীন পারভেজ, লক্ষ্মীকান্ত রায়, শহীদুল্লাহ, কেএম এনায়েত হোসেন, এএসআই আতোয়ার রহমান, কনস্টেবল সাইফুল, পুলিশের সোর্স খোকন ও সুমন।

গত ১২ জুলাই মিসেস শাহানা আক্তার নামে এক নারী এ মামলা করেন। ওইদিন বিচারক বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করে ১৯ জুলাই আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন।

দায়ের করা মামলায় জানা যায়, শাহানা আক্তারের স্বামী ফরমান উল্লাহ সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি সাংবাদিকতা পেশা ছেড়ে দেন। কিন্তু তিনি দেখতে পান যাত্রাবাড়ী থানার কিছু পুলিশ সদস্য পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নিরীহ মানুষদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এরপর গত ৫ মে, ৮ জুন ও গত ১৬ জুন ডাক যোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ পুলিশের বিভিন্ন দফতরে ওই সংক্রান্ত পৃথক তিনটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে পেরে আসামিরা তাকে ফোন করে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে বলেন। তা না হলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুকিও দেওয়া হয়।

এরপর গত ২১ জুন শাহানার স্বামীকে ওয়ারী থানাধীন রাজধানী সুপার মার্কেট থেকে আসামিরা তাকে টেনেহিঁছড়ে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যায়। পরে শাহানা ওয়ারী জোনের ডিসি ফরিদকে বিষয়টি জানালে তিনি আসামি ইফতেখারুলকে ফোন করে তাকে ছেড়ে দিতে বলেন এবং শাহানাকে থানায় গিয়ে তার স্বামীকে নিয়ে আসতে বলেন।

শাহানা থানায় গেলে আসামি ইফতেখারুল ডিসি ফরিদকে গালিগালাজ করে নিজেকে নারায়ণগঞ্জের এমপি শামীম ওসমানের মেয়ের জামাই পরিচয় দেন এবংবাদিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও চর-থাপ্পড়ও মারেন। এই সময় বাদি তার স্বামীকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করলে ইফতেখারুল ছয় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এরপর বাদি বাধ্য হয়ে তাদের দুই লাখ টাকা দেন।

এর আগেই আসামিরা বাদির স্বামীকে মারধর করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বাদি সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তার স্বামীকে মাদকের তিনটি মিথ্যা মামলায় কোর্টে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে বাদির স্বামী কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরে বাদি মামলার বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলে অভিযোগ করেন কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি আদালতে মামলাটি করেন।

(দ্য রিপোর্ট/কেএনইউ/এপি/জুলাই ১৯, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর