thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

‘মডেলিং আমার পেশা নয়’

২০১৭ জুলাই ২০ ১৮:১৬:০৮
‘মডেলিং আমার পেশা নয়’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : “আমার মডেলিং থেকে উপার্জন করা কোন আয় আমার বাসায় আসে না, চলে যায় বিভিন্ন চ্যারিটির কাজে। কেননা মিডিয়াতে কাজ আমার পেশা নয়, করা হয় শখে। কিন্তু যখন কাজ করি তা করি আমার সর্বশক্তি দিয়ে। কিছু মানুষের উপকারের স্বার্থে। নিজের জীবন বা জীবিকার জন্য আমার ভিন্ন পেশা রয়েছে, যা আপনাদের সবারই জানা। যতদিন ফিজিক্যালি ফিট থাকবো ততদিন পর্যন্ত আমার পাইলট চাকুরীও থাকবে।” এমন মন্তব্য করলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আন্তর্জাতিক মডেল মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি।

বিশ্বের বিখ্যাত ফটোগ্রাফারদের ফটোশ্যুটে মডেল হয়েছেন প্রিয়তি। এ নিয়ে সমালোচনাও শুনতে হয়েছে তাকে। কেউ কেউ ধর্মকে টেনে এনে প্রিয়তির সমালোচনা করেছেন। তাদের উদ্দেশ্যে প্রিয়তি বলেন, “ধর্ম , সমাজ ও সংস্কৃতি এই তিনটার দোহাই আমাকে দিয়ে লাভ নেই। এইগুলোর দোহাই আমাকে বিচলিত করে না। কেননা, আমি যখন অসুস্থ হয়ে বিছানায় পরে থাকি বা কাজ করতে পারি না তখন এই তিনটার একটিও এসে আমার বাচ্চাদের খাবার দিয়ে যায় না বা স্কুলের খরচ বা আমার বাসার বিল, কোনটাই না। সুতরাং, কেও আমাকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল বা অপদস্ত করতে চাইলে আপনারাই হতাশ হবেন। আমাকে তিল পরিমাণ হেলাতে পারবেন না।”

অর্থের লোভ পিয়তির নেই। তিনি বলেন, “ব্যাংক ব্যলেন্স আমার সব সময়ের মতোই শুন্য থাকে। ব্যাংক ব্যলেন্স নিয়ে তো আর আমি কবরে যাবো না। নিজের ঢোল নিজে পিটাতে হয় না, তাই শিখেছিলাম। কিন্তু মাঝে মাঝে হয়তো পিটাতে হয় সময়ের স্বার্থে। আমার মডেলিং থেকে উপার্জন করা কোন আয় আমার বাসায় আসে না, চলে যায় বিভিন্ন চ্যারিটির কাজে। কেননা মিডিয়াতে কাজ আমার পেশা নয় , করা হয় শখে কিন্তু যখন কাজ করি তা করি আমার সর্বশক্তি দিয়ে, কিছু মানুষের উপকারের স্বার্থে। নিজের জীবন বা জীবিকার জন্য আমার ভিন্ন পেশা রয়েছে , যা আপনাদের সবার ই জানা। যতদিন ফিজিক্যালি ফিট থাকবো ততদিন পর্যন্ত আমার পাইলট চাকুরীও থাকবে।”

সমালোচকদের প্রিয়তি বলেন, “আচ্ছা, যাদের আমার কাজ নিয়ে নেতিবাচক ধারনা রয়েছে/ তৈরি হয়েছে তাদেরকে বলছি। আপনি একজন পথশিশুর পড়াশুনার দায়িত্ব নিন। আমাদেরকে দেখান, যদি তখন আমাকে কিছু বলার থাকলে বলুন। আমি আপনার গালি ফ্রিতে নিয়ে নিব। নিজের সমাজের/ দেশের মানুষের জন্য আগে কিছু করুন। তারপর না হয় সমাজ/দেশ/ ধর্ম/ সংস্কৃতি নিয়ে উত্তেজিত হওন। সবার আগে মানুষ সত্য।”

ছবির আলোকচিত্রী : ঈডেল ও নোলেস। বডি পেইন্টিং ও এবং স্টাইলিং বিয়ানকা(জার্মানী)। লোকেশন : আর্কিটেক্ট আলফ্রেড কোকরান হাউজ।

(দ্য রিপোর্ট/পিএস/জুলাই ২০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর