thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

পাবনায় ৪ বন কর্মকতার বিরুদ্ধে দুদকের তিন মামলা

২০১৭ জুলাই ২০ ২০:২১:১১
পাবনায় ৪ বন কর্মকতার বিরুদ্ধে দুদকের তিন মামলা

পাবনা প্রতিনিধি : সাড়ে ১৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পাবনা বন বিভাগের সাবেক ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আলাদা তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে পাবনা সদর থানায় মামলা তিনটি দায়ের করা হয়।

মামলার আসামীরা হলেন- তৎকালীন পাবনার সুজানগর ও শালগাড়িয়া এসএফএনটিসি’র প্রাক্তন ফরেস্ট রেঞ্জার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (বর্তমানে ফরেস্ট রেঞ্জার, হবিগঞ্জ কোর্ট এফসিসিও) মোখলেছুর রহমান (৫৮), সামাজিক বন বিভাগ পাবনার প্রাক্তন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (বর্তমানে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, উপকুলীয় বন বিভাগ, পটুয়াখালী) অজিত কুমার রুদ্র (৫২), সামাজিক বন বিভাগ পাবনার প্রাক্তন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (বর্তমান বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ, খুলনা) মুহাম্মদ সাঈদ আলী (৪১) ও সামাজিক বন বিভাগ পাবনার প্রাক্তন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (বর্তমান উপ-বন সংরক্ষক, বন ব্যবস্থাপনা উইং, বন অধিদপ্তর, ঢাকা) হারুন অর রশিদ (৪০)।

দুদক সমন্বিত কার্যালয় পাবনার উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে এই দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধান শেষে এ মামলা তিনটি দায়ের করা হয়। তিনটি মামলার মধ্যে দু’টি মামলার বাদি দুদক সমন্বিত কার্যালয় পাবনার সহকারী পরিচালক শেখ গোলাম মওলা এবং একটি মামলার বাদি উপ-সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান।

দুদক সমন্বিত কার্যালয় পাবনার উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক জানান, অভিযুক্তরা পাবনায় কর্মকালীন সময়ে পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন বনায়ন প্রকল্পের কাজ না করে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে মোট ১৭ লাখ ৫১ হাজার ১৯৮ টাকা আত্মসাত করেন। এর মধ্যে জেলার সুজানগর উপজেলার গাজনার বিল সংযোগ বাদাই নদী খনন, সেচ সুবিধা উন্নয়ন ও মৎস্য চাষ প্রকল্পের আওতায় বনায়নের জন্য অস্থায়ী নার্সারি স্থাপন, নার্সারিতে চারা উত্তোলন, নার্সারিতে প্রস্তুতকৃত চারাগাছ বসত বাড়ীতে রোপণের জন্য বিতরণ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক খাল খননের পর বাদাই নদীর দুই তীরে ২০ কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান সৃজন কার্যক্রম এর অর্থ গ্রহণ করে প্রকল্পের কাজ না করে ও চারাগাছ রোপণ/বিতরণ দেখিয়ে পরস্পর যোগসাজশে ৭ লাখ ৯৭ হাজার ১৯৮ টাকা আত্মসাত করেন। এছাড়া জেলার বেড়া উপজেলার রূপপুর ইউনিয়নের বড় ভবানীপুর মৌজার ১৬.০৯ হেক্টর ভূমিতে উডলট বাগান সৃজন এর বরাদ্দকৃত অর্থ ৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা গ্রহণ করে প্রকল্পের কাজ না করে ও চারাগাছ রোপণ/বিতরণ দেখিয়ে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে টাকা আত্মসাত করেন। অপরদিকে বেড়া উপজেলার কাকশিমুল, ঢালারচর ইউনিয়ন ৭৫ হেক্টর বনায়নের ৫০ হেক্টর বাগান করে সৃজন এর বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন করে ২৫ হেক্টর বাগান সৃজন না করে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার কাজ না করে ও চারাগাছ রোপণ/বিতরণ দেখিয়ে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে টাকা আত্মসাত করেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি অর্থ আত্মসাত ও আত্মসাতে সহায়তা করে দণ্ড বিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে পাবনা সদর থানায় আলাদা তিনটি মামলা দায়ের করে দুদক। মামলা নং ৫৫, ৫৬ ও ৫৭।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/জুলাই ২০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর