thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৫ শাওয়াল 1445

বাগেরহাটে সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী

২০১৭ জুলাই ২০ ২০:৩৯:৩৬
বাগেরহাটে সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে প্রবল বর্ষণে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদরের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি আটকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সহস্রাধিক পরিবার।

শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের কালিমন্দির, পূর্ব মাথা, পুরাতন পোস্ট অফিস, হাসপাতাল, টিএন্ডটি, খাদ্য গুদাম এবং পাঁচরাস্তা এলাকার বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন। বাড়ির আঙিনা, চলাচলের রাস্তা এমনকি অনেকের ঘরের মধ্যেও পানি উঠে গেছে। রান্না-বান্নসহ স্বাভাবিক কাজকর্মও করতে পারছেন না অনেকে।

রায়েন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা ইসাহাক আলী, টিএন্ডটি এলাকার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার এমএ খালেক খান, সাংবাদিক শেখ মোহাম্মদ আলী, পুরাতন পোস্ট অফিস এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সাগর আক্তারসহ অনেকেই এই বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

তারা বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিতে বাড়ি-ঘর তলিয়ে যায়। চারিদিকের পঁচা আবর্জনা পানির সঙ্গে ভেসে আসে। দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে পড়ে। পানি নিষ্কাশনের নালা এবং সরকারি জলাশয়গুলো অপরিকল্পিতভাবে ভরাট করে পাকা ইমারত ও বাড়ি-ঘর নির্মাণ করার ফলে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সরকারিভাবে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না করায় মাসের পর মাস পানিবন্দী অবস্থায় থাকতে হয়। এমন অবস্থা থাকলে দুর্ভোগের পাশাপাশি পানিবাহিত নানা রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন ভুক্তোভোগীরা।

রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর (সদর ওয়ার্ড) ওয়ার্ডের মেম্বার মো. জালাল আহম্মেদ রুমি জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার বাড়িও পানিতে তলিয়ে গেছে। এলাকার সহস্রাধিক পরিবার চরম দুর্ভোগে আছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।

রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, বাজার উন্নয়নের জন্য এলজিইডি’র মাধ্যমে প্রায় ১৫ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু কাজের মান নিয়ে অভিযোগ ওঠায় ঠিকাদার মাঝপথে কাজ বন্ধ করে দেন। ফলে প্রকল্পটি অনিশ্চিৎ হয়ে পড়ে। সড়ক ও গভীর ড্রেন নির্মাণের কাজ শুষ্ক মৌসুমেই সম্পন্ন হওয়ার কথা। যথাসময়ে কাজ সম্পন্ন হলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো না। প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, জনদুর্ভোগ ও জলাবদ্ধতা নিরশনে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/জুলাই ২০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর