thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭,৯৬৯

এইচএসসিতে গড় পাস ৬৮.৯১ শতাংশ

২০১৭ জুলাই ২৩ ১২:১৪:০৯
এইচএসসিতে গড় পাস ৬৮.৯১ শতাংশ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দশ বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। এবার পাসের হার ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ কমেছে।

মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭ হাজার ৯৬৯ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ২৭৬ জন। গত বছরের চেয়ে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী কমেছে ২০ হাজার ৩০৭ জন।

আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আলিম ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসিতে (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭ হাজার ৭২৬ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিলো ৫৮ হাজার ২৭৬ জন। এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ হাজার ৫৫০ জন কমেছে।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ রবিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন। এর আগে সকাল ১০টার দিকে শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের কপি তুলে দেন।

পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের পদ্ধতি পরিবর্তনের কারণে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমেছে।

এবার এইচএসসিতে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের ৬৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ। গত বছর এ হার ছিলো ৭২ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

পাসের হারে এবার শীর্ষে উঠে এসেছে সিলেট বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৭২ শতাংশ।

জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এবারও শীর্ষে ঢাকা বোর্ড। এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৯৩০ জন।

মাদ্রাসা বোর্ডের পাসের হার ৭৭ দশমিক ০২ শতাংশ। কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ঢাকা বোর্ডের অধীন ডিআইবিএস-এ (ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ) পাসের হার ৭১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

গত বছর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৮ দশমিক ১৯ শতাংশ, কারিগরি বোর্ডে ৮৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ ও ডিআইবিএসে ৮১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

ফলাফলের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১১ লাখ ৬৩ হাজার ৩৭০ জন। এরমধ্যে পাস করেছে ৮ লাখ এক হাজার ৭১১ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্র ৪ লাখ ২২ হাজার ৩৯০ ও ছাত্রী ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩২১ জন।

গত বছরের মতো এবারও শিক্ষার্থীরা জিপিএ’র সঙ্গে বিষয়গুলোর নম্বরও জানতে পারবে।

এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে আট সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ৩৩ হাজার ২৪২, মাদ্রাসা বোর্ডে এক হাজার ৮১৫, কারিগরি বোর্ডে ২ হাজার ৬৬৯ ও ডিআইবিএসে ২৪৩ জন রয়েছেন।

আট বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৮ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৯৪২ জন। মাদ্রাসা বোর্ডে ৯৬ হাজার ৮০২ জনের মধ্যে পাস করেছে ৭৪ হাজার ৫৬১ জন। কারিগরি বোর্ডে ৯৭ হাজার ১৪ জন পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৮ হাজার ৯০৪ জন।

এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় গত ২ এপ্রিল। তত্ত্বীয় (লিখিত) পরীক্ষা শেষ হয় ১৫ মে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৬ মে শুরু হয়ে শেষ হয় ২৫ মে।

সংবাদ সম্মেলন শেষ হওয়ার পর থেকেই পরীক্ষার অনলাইন ও মোবাইলের মাধ্যমে ফল সংগ্রহ করা যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট সকল পরীক্ষা কেন্দ্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এসএমএসের মাধ্যমে ফল একযোগে প্রকাশ করা হয়।

এক নজরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল

বোর্ড

পাসের হার

জিপিএ-৫

ঢাকা

৬৯.৭৪%

১৮,৯৩০

রাজশাহী

৭১.৩০%

৫,২৯৪

কুমিল্লা

৪৯.৫২%

৬৭৮

যশোর

৭০.০২%

২,৪৪৭

চট্টগ্রাম

৬১.০৯%

১,৩৯১

বরিশাল

৭০.২৮%

৮১৫

সিলেট

৭২%

৭০০

দিনাজপুর

৬৫.৪৪%

২,৯৮৭

৮ বোর্ডে মোট

পাস-৬৬.৮৪%

জিপিএ ৫-৩৩,২৪২

মাদ্রাসা বোর্ড

৭৭.০২%

১,৮১৫

কারিগরি বোর্ড

৮১.৩৩%

২,৬৬৯

ডিআইবিএস (ঢাকা বোর্ড)

৭১.৫৮%

২৪৩

গড় পাস-৬৮.৯১%

মোট জিপিএ ৫-৩৭,৯৬৯

ফল জানা যাবে ইন্টারনেট, মোবাইলে

পরীক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট www.educationboardresults.gov.bd এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল সংগ্রহ করতে পারবে।আটটি সাধারণ বোর্ডের ক্ষেত্রে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর, স্পেস দিয়ে রোল নম্বর, স্পেস দিয়ে 2017 লিখে 16222 নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।

আলিমের ক্ষেত্রে ফল জানতে Alim লিখে স্পেস দিয়ে Mad (বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর) স্পেস দিয়ে রোল নম্বর, স্পেস দিয়ে 2017 লিখে 16222 নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।

এছাড়া এইচএসসি ভোকেশনালের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে 2017 লিখে 16222 নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।

তিন ক্ষেত্রেই ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন ২৪ থেকে ৩০ জুলাই

মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন গ্রহণ করা হবে ২৪ থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত। শুধু টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল দিয়ে ফল যাচাই করার আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে মোবাইলে মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি পত্রের জন্য ১৫০ টাকা হারে ফি দিতে হবে।

ফিরতি এসএমএস এ আবেদন ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর দেওয়া হবে। আবেদনে সম্মত থাকলে মেসেজ অপশনে গিয়ে আরএসসি লিখে স্পেস দিয়ে ইয়েস (yes) লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে যোগাযোগের ফোন নম্বর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে।

যেসব বিষয়ে দুটি পত্র (বাংলা ও ইংরেজি) রয়েছে সেসব বিষয়ে একটি বিষয় কোড (বাংলার জন্য ১০১, ইংরেজির জন্য ১০৭) এর বিপরীতে দুটি পত্রের জন্য আবেদন হিসেবে গণ্য হবে এবং আবেদন ফি হিসেবে ৩০০ টাকা লাগবে। একই এসএমএসের মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করা যাবে। এক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে কমা দিয়ে দিয়ে লিখতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এআরই/জুলাই ২৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর