চাঁদপুরে সাবেক স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা

চাঁদপুর প্রতিনিধি : বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে সাবেক স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিহতের নাম মিতু আক্তার (২১)। তার মা রাবেয়া বেগম জানান, তার জামাতা হযরত আলী (২৬) বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। পরে বাড়ির পাশে রক্তাক্ত অবস্থা্য় তার লাশ দেখতে পাই।

রবিবার (২৩ জুলাই) রাতে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪ নং কালচোঁ ইউনিয়নের বাজনাখাল চাঁদপুর গ্রামের বেপারি বাড়িতে রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর থেকে হযরত আলী পলাতক রয়েছেন। হযরত আলী হাজীগঞ্জ উপজেলার দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়নের কীর্ত্তনখোলা গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আবদুল মান্নান গলাকাটা এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবেদুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আবদুল মান্নান ও উপ-পরিদর্শক জসিম উদ্দিন ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেন।

আজ সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মিতুর মৃতদেহ হস্তান্তর করবে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।

নিহতের মা রাবেয়া বেগম দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমার মেয়ের সাথে দুই বছর সংসার করেছিল হযরত আলী। এক বছর পূর্বে মেয়েকে তালাক দেয় সে। তালাকের কয়েক দিন পর সে আবারও বিয়ে করে। তারপর বাহরাইন চলে যায়। সেখানে গিয়ে মোবাইলে আমার মেয়ের সাথে আবার যোগাযোগ শুরু করে। মেয়েকে অন্য কোথাও বিয়ে বসতেও বারণ করেছিল।

তিনি আরও জানান, চারদিন আগে হযরত আলী বিদেশ থেকে বাড়ি আসে এবং রবিবার (২৩ জুলাই) সকালে মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে যায়। বিকেলে মেয়ে জানায়, দুই বউকে নিয়ে সংসার করতে চান হযরত আলী। কোন সমস্যা হবে না।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রবিবার রাতে হযরত আলী ২/৩ জন লোক নিয়া বাড়িতে আসার কথা। রাত ৯টার দিকে মেয়ের মোবাইলে কল দিয়ে মিতুকে বাড়ির সামনে যাওয়ার জন্য বলে হযরত আলী। মিতু ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। একঘণ্টা পার হওয়ার পরও ফিরে না আসায় তাকে খুঁজতে বের হই। হঠাৎ করে আমাদের টয়লেটের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় মিতুকে দেখতে পাই-জানান রাবেয়া।

নিহত মিতুর ভাই সুজন বলেন, ‘আমার বাবা নাই। আমরা গরীব। আমার বোনের হত্যাকারী হযরত আলী। ডেকে নিয়ে আমার বোনকে গলা কেটে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।

(দ্য রিপোর্ট/এমকে/এনআই/জুলাই ২৪, ২০১৭)