যশোরে মাছ উৎপাদনে অবদানের জন্য ১৬ জনকে সম্মাননা

যশোর অফিস : যশোরে মাছ উৎপাদনে বিশেষ অবদানের জন্য চারটি সমিতি ও ১৬ ব্যক্তিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী দিনে যশোর জেলা মৎস্য অধিদফতরের উদ্যোগে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

যশোর জিলা স্কুল অডিটরিয়ামে সম্মাননা প্রধান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. শেখ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর যশোর জেলার মৎস্য চাষ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হরেন্দ্রনাথ সরকার, যশোর বিএফআরআই’র স্বাদু পানি উপকেন্দ্রের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শফিকুজ্জোহা, আলোচনা করেন, জেলা হ্যাচারি মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ফিরোজ খান, উপদেষ্টা সাইফুজ্জামান মজু, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান গোলদার, জেলা মৎস্যচাষী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বাবলু প্রমুখ।

সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন- মাছের গুণগত মানের রেনু উৎপাদনের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোক্তা হিসেবে এ বছর জাতীয়ভাবে স্বর্ণপদ প্রদান করা হয় মধুমতি মৎস্য হ্যাচারির মালিক একরামুল কবির ও জহুরুল ইকবালকে, মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে ব্যক্তির সমগ্র কর্মজীবনের অবদানস্বরূপ এ বছর জাতীয়ভাবে রৌপ্য পদক দেওয়া হয় ইউনাইটেড এক্সো ফিসারিজের মালিক মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী, রেনু উৎপাদনে আধুনিক উদ্যোক্তা (পানি রিসাইক্লিনিং) হিসেবে মাতৃ ফিস হ্যাচারি এন্ড ইন্টিগ্রেটেড ফার্মের জাহিদুর রহমান গোলদার, তেলাপিয়া রেণু উৎপাদনের হার বৃদ্ধির কলাকৌশল উদ্ভাবনে যশোর সদর মৎস্যবীজ উৎপাদ খামারের ক্ষেত্র সহকারী এএনএম লুৎফুল হাসান, পোনা উৎপাদনের সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ সোনা মৎস্য প্রজেক্টের মালিক আতিয়ার রহমান টুটুল, মোল্লা ফিশ নার্সারির মালিক মাকিবুর রহমান, মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাত ও রফতানিকরণে এমইউসি ফুডের শ্যামল দাস, রেণু উৎপাদনের সফলতার স্বীকৃতি স্বরূপ ঈভা ফিস হ্যাচারির ইন্দ্রজিত বর্মণ, ন্যাশনাল ফিশ হ্যাচারির আমিরুল হক, আল্লার দান মৎস্য হ্যাচারির মশিয়ার রহমান, মনোসেক্স তেলাপিয়া মাছ উৎপাদনে শাহ আলী মৎস্য খামারের নুরুল ইসলাম বাবু, কৈ, শিং মাছ উৎপাদনে তরফদার মৎস্য চাষ প্রকল্পের মফিজুর রহমান, শাওন মৎস্য চাষ প্রকল্পের রেজাউর রহমান শাওন, রুই জাতীয় মাছ উৎপাদনে চৌগাছার ওলিয়ার রহমান, পাঙ্গাশ মাছ উৎপাদনে ঝিকরগাছার মোশাররফ হোসেন, কার্প নার্সারি ও চাষী সংগঠক হিসেবে মেসার্স মালগুনী মৎস্য খামারের মিজানুর রহমান বাবুল, বাওড় ব্যবস্থাপনা ও মাছ উৎপাদনে বুকভরা বাওড়, অভয়নগরের পুড়াখালী বাওড়, মণিরামপুরের হরিহরনগর বাওড় এবং সমাজভিত্তিক মাছ চাষ ব্যবস্থাপনায় মণিরামপুর নেহালপুর লখাইডাঙ্গা ফসল ও মৎস্য চাষ সমবায় প্রকল্প।

প্রত্যেকেরই সম্মাননা স্মারক ও সনদ প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ‘মাছ চাষে গড়বো দেশ, বদলে দেব বাংলাদেশ’ এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করে ১৯ জুলাই সারা দেশের সাথে যশোরেও শুরু হয় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এনআই/জুলাই ২৪, ২০১৭)