thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

মংলা বন্দরের পণ্যজট কমাতে নিলামে ৮শ’ কন্টেনার ও ৫০টি গাড়ি

২০১৭ জুলাই ২৬ ২১:৪৮:১৭
মংলা বন্দরের পণ্যজট কমাতে নিলামে ৮শ’ কন্টেনার ও ৫০টি গাড়ি

বাগেরহাট প্রতিনিধি : সময় মতো আমদানিকারকরা তাদের পণ্য ছাড় করিয়ে না নেওয়ায় এবং দীর্ঘদিন ধরে বন্দর জেটি ও ইয়ার্ডে পণ্য ও গাড়ি পড়ে থেকে জটলার সৃষ্টি হয়েছে মংলা বন্দরে। তাই বন্দরের জট কমাতে শিগগিরই প্রায় ৮শত কন্টেইনার ও ৫০টি বিলাসবহুল গাড়ি নিলামের উদ্যোগ নিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে এ সকল পণ্যের নিলামের সকল প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

মংলা কাস্টমস হাউস সূত্র জানায়, দীর্ঘ ২/৩ বছরেরও অধিক সময় যাবৎ বন্দর জেটি, ইয়ার্ডসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৮শত কন্টেনার ও প্রায় ৫ বছর ধরে শেড, কার ইয়ার্ডে ৫০টি রিকন্ডিশনড বিলাসবহুল বিএমডব্লিউ, পাজেরোর মতো নামী-দামী গাড়ি পড়ে আছে। এ সকল পণ্যের মালিক/আমদানিকারকরা নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পর বছরের পর বছর পার হয়ে গেলেও তারা সেগুলো ছাড় করিয়ে নেয়নি। নিয়ম অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে এ সকল আমদানি পণ্য ছাড় করিয়ে না নিলে সরকারই এর মালিক হয়ে যায়। ফলে ৩০ দিনের পর ওই সকল পণ্যের নিলাম দেওয়ার বিধিবিধান রয়েছে। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে গত ১ বছর নিলাম অনুমোদন বন্ধ ছিল। মংলা কাস্টমস হাউসে নব নিযুক্ত কাস্টমস কমিশনার মো. মারগুব আহমদ দায়িত্ব গ্রহণের পর বন্ধ থাকা নিলাম কার্যক্রম পুনরায় চালু করেছেন। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই গত ২৫ জুলাই প্রায় ২শ’ ৫০টি গাড়ির নিলাম দিয়েছেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ৮শ’ কন্টেনার পণ্য ও ৫০টি বিলাসবহুল গাড়ি নিলামের সকল ধরনের প্রস্তুতি জোরেশোরে চলছে। যে কেউই অংশগ্রহণ করতে পারবেন এ নিলামে।

বন্দর ব্যবহারকারী এইচ এম দুলাল অভিযোগ করে বলেন, কতিপয় গাড়ি আমদানিকারক এ বন্দরকে গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহার করছেন। গাড়ি এনে বছরের পর বছর ফেলে রেখে জটলার সৃষ্টি করে চলেছেন। শুধু নিলাম নয় এ সকল আমদানিকারকদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করাও প্রয়োজন।

মংলা কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. মারগুব আহমদ বলেন, দিনকে দিন এ বন্দরের কার্যক্রম ও গুরুত্ব বেড়েই চলেছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণও। তাই বন্দরের চলমান কন্টেনার ও গাড়ির জট কমানোর জন্য নিলামের এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন পত্রপত্রিকার পাশাপাশি নিজস্ব ওয়েবসাইটেও নিলাম বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। তবে আগামীতে টেলিভিশনের স্ক্রলেও নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রচার/প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়া নিলামে অংশগ্রহণকারী সর্বোচ্চ দর দাতারাই পণ্যের দাবিদার হবেন বলে জানিয়েছেন কাস্টমস কমিশনার।

মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর একেএম ফারুক হাসান বলেন, বন্দরের কন্টেনার ও গাড়ির জট কিভাবে কমানো যায় সে বিষয়ে কাস্টমসসহ সংশ্লিষ্টদের দফতরে আলাপ-আলোচনা চলমান রয়েছে। আলোচনার প্রেক্ষিতেই কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কন্টেনার ও গাড়ি নিলামের উদ্যোগ নিয়েছেন। ৮শত কন্টেনার পণ্যসহ দফায় দফায় গাড়ির নিলাম হলে জট কমার পাশাপাশি বন্দরে অনেক খালি জায়গার সৃষ্টি হবে। এতে বন্দর ব্যবহারকারীরা স্বাচ্ছন্দ্যে এ বন্দর ব্যবহার ও তাদের আমদানি-রফতানি পণ্য ভালভাবে রাখতে পারবেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এনআই/জুলাই ২৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর