thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

ই-বিআইএন কার্যকর থাকছে

২০১৭ জুলাই ২৭ ২১:৪৫:২৮
ই-বিআইএন কার্যকর থাকছে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : নতুন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আইন বাস্তবায়ন পিছিয়ে গেলেও ইতোমধ্যে অনলাইনে নেওয়া ৯ ডিজিটের নিবন্ধন বা ইলেকট্রনিক বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর (ই-বিআইএন) কার্যকর থাকবে। পাশাপাশি অনলাইন নিবন্ধন ব্যবস্থাও চলমান থাকবে। এমনটাই জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এনবিআর’র পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়ছে, ১১ ডিজিটের পুরনো ভ্যাট নিবন্ধন দিয়ে চলতি বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ থাকছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) এনবিআর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

এতে বলা হয়েছে, যে সকল প্রতিষ্ঠান মূসক আইন-১৯৯১ এর আওতায় কেন্দ্রীয় নিবন্ধন (১১ ডিজিটের বিআইএন) গ্রহণ করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন তারা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অনলাইনে কেন্দ্রীয়ভাবেই নিবন্ধিত হবেন এবং ৯ ডিজিটের বিআইএন গ্রহণ করে এই আইনের অধীন প্রচলিত নিয়মেই কর পরিশোধসহ সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

এ প্রসঙ্গে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেছেন, ‘নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন পিছিয়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যে অনলাইনে নেওয়া নিবন্ধন কার্যকর থাকার পাশাপাশি অনলাইন নিবন্ধন ব্যবস্থা চলমান থাকবে কিনা এ নিয়ে ব্যবসায়ী ও জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। ই-বিআইএন কার্যকর ও অনলাইন ব্যবস্থা বহাল থাকার বিষয়টি পরিষ্কার করতেই আমরা গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘বিদ্যমান সনাতনী ভ্যাট ব্যবস্থায় প্রায় সাড়ে ৮ লাখ বিআইএন নম্বর গ্রহণকারী ব্যবসায়িক সত্তা থাকলেও প্রতি মাসে মাত্র ৩৭ হাজার করদাতা নিয়মিত দাখিলপত্র প্রদান করেন। ফলে অনেক অস্তিত্বহীন নিবন্ধিত করদাতা যেমন রয়েছেন, তেমনি ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলমান থাকা সত্ত্বেও অনেক করদাতা নিয়মিত দাখিলপত্র প্রদান করেন না বা করজালের বাইরে অবস্থান করছেন। সার্বিকভাবে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ এবং নিবন্ধন গ্রহণের প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, দ্রুততর ও হয়রানিমুক্ত করার লক্ষ্যে মূলত অনলাইন নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

এনবিআরের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নতুন নিবন্ধন গ্রহণকারী ব্যবসায়ীগণ অনলাইনে ৯ ডিজিটের নিবন্ধন গ্রহণের প্রক্রিয়াকে অত্যন্ত ব্যবসা-বান্ধব উল্লেখপূর্বক এই কার্যক্রমকে চলমান রাখতে অনুরোধ করেছেন।

ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে অনলাইনে নিবন্ধন নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, যে সকল প্রতিষ্ঠান দুই বা ততোধিক স্থান হতে করযোগ্য পণ্যের উৎপাদন বা সেবা প্রদান বা ব্যবসায় পরিচালনা করছেন এবং আইনের আওতায় প্রতিটি স্থানের সংশ্লিষ্ট ইউনিটের জন্য আলাদা নিবন্ধন গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় দফতর ও সার্কেল অফিসে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তারা প্রতিটি ইউনিটের জন্য অনলাইনে ৯ ডিজিটের পৃথক নিবন্ধন গ্রহণ করবেন। এসব ইউনিটের একটি টিআইএন থাকলেও প্রতিটি ইউনিটের জন্য ৯ ডিজিটের আলাদাভাবে একটি করে নিবন্ধন গ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি ইউনিট সেই নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে বর্তমানে যে সার্কেলে দাখিলপত্র পেশ করেন সেই সার্কেলে যথারীতি দাখিলপত্র পেশ করবেন এবং আমদানি-রফতানিসহ অন্যান্য কার্যক্রমও ইউনিটের বিআইএন দিয়ে ১৯৯১ আইনের অধীন পরিচালিত হবে।

এদিকে, যে সকল প্রতিষ্ঠান একাধিক ইউনিটের জন্য আলাদা নিবন্ধন (১১ ডিজিট) গ্রহণ করে ব্যবসায় পরিচালনা করে আসছিলেন এবং চলতি বছরের ১৫ মার্চের পর কেন্দ্রীয়ভাবে সদর দফতরের ঠিকানায় একটি নিবন্ধন (৯ ডিজিটের) গ্রহণ করেছেন তাদেরকে নতুন করে প্রতিটি ইউনিটের জন্য আলাদাভাবে পুনঃনিবন্ধন (৯ ডিজিটের) গ্রহণ করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মূসক আইন-১৯৯১ বিদ্যমান থাকা পর্যন্ত ৯ ডিজিটের কেন্দ্রীয় নিবন্ধনটি অকার্যকর থাকবে। তা দিয়ে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না এবং কোনো দাখিলপত্রও পেশ করতে হবে না।

যে সকল প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ইউনিটের আলাদা নিবন্ধন (১১ ডিজিট) নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন, কিন্তু বর্তমানে কেন্দ্রীয়ভাবে নিবন্ধিত হতে চান, তারা ১৯৯১ আইনের অধীন বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুসরণ করে ৯ ডিজিটের কেন্দ্রীয় নিবন্ধন গ্রহণ করবেন।

অনলাইন নিবন্ধনের আলোকে ৯ ডিজিটের ইউনিট রেজিস্ট্রেশনগুলো তাদের ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী স্ব স্ব কমিশনারেটে দাখিলপত্র প্রদান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সূত্র : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/এনআই/জুলাই ২৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর